• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পুলিশের আইজিপি হলেন বেনজীর, র‌্যাবের ডিজি আব্দুল্লাহ আল মামুন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৩:৪৮
পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের ডিজি আব্দুল্লাহ আল মামুন
পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও র‌্যাবের ডিজি আব্দুল্লাহ আল মামুন (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এছাড়া সিআইডির প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) নিযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।

নতুর আদেশ অনুযায়ী বর্তমানে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার বেনজীর আহমেদ পদোন্নতি পেয়ে বাহিনীটির ৩০তম আইজিপি হবেন। বর্তমান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর মেয়াদ ১৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে তিনি সরাসরি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন।

একজন দক্ষ, পেশাদার, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার বেনজীর তাঁর বর্ণাঢ্য চাকরিজীবনে র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ও ডিআইজি (ফিন্যান্স এন্ড বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কিশোরগঞ্জ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীন ঢাকা উত্তর, পুলিশ একাডেমি, পুলিশ সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন এবং ঢাকা শহর তথা দেশকে এক মারাত্মক বিপর্যয় থেকে মুক্ত করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা সন্ত্রাস অত্যন্ত সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দমন করেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাস ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক বহুসংখ্যক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস ও পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমণ তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দমন করেন। তিনি নগরবাসীর জন্য ফরমালিন মুক্ত খাদ্যদ্রব্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভেজালবিরোধী এক ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন। এ সম্পর্কে তিনি জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যবস্থা করেন।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করে তিনি সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু বছরের আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ হত্যা মামলাসহ কতিপয় ঘটনার ক্ষেত্রে যখন র‌্যাবের ভূমিকা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং র‌্যাব সদস্যদের মনোবল ভেঙে পড়ার উপক্রম তখন তিনি দৃঢ়তার সাথে সেই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। তিনি সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসম্মুখে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৬ সালে হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় তিনি অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা রাখেন।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ঘরে ঝুলছিল তরুণের মরদেহ
চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন : এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
X
Fresh