• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আট দাবিতে সারাদেশে বিড়ি শ্রমিকদের বিক্ষোভ মানববন্ধন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৮ জুন ২০১৯, ১৩:২২
সারাদেশে বিড়ি শ্রমিকদের বিক্ষোভ মানববন্ধন

মজুরি বৃদ্ধি ও বিড়ি’র ওপর শুল্ক কমানোসহ ৮ দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের বিভিন্ন কারখানার বিড়ি শ্রমিকরা। বুধবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা কুমিল্লার লাকসামে অর্থমন্ত্রীর ও নরসিংদীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনেও মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন।

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর বৈষম্যমূলক সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাগেরহাটের মোল্লারহাট, যশোরের নাভারন-সাতক্ষীরা মোড়, বরিশাল, ময়মনসিংহ-বাইপাস, শেরপুর বাস স্টান্ড, টাংগাইল-ঢাকা বাইপাস রোড, কিশোরগঞ্জ বড়পুল, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ভৈরব দুর্জয় মোড়, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এসএস রোড, বগুড়া ফুটকি বাজার, রংপুর হাইওয়ে, পাবনাসহ দেশের শতাধিক স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো-১. বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করতে হবে।২. সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ভারতের মতো প্রতি হাজারে ১৪ টাকা করতে হবে। ৩. কম দামি ও বেশি দামি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে। ৫. বঙ্গবন্ধুর চালু করা বিড়িকে অবিলম্বে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে। ৬. নিন্ম স্তর ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্য করতে হবে। ৭. উচ্চ স্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ৮. শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হাজার প্রতি ১০০ টাকা করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে ৪ গুন বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়িতে ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে কম দামি সিগারেটে মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পুরক শুল্ক ৩০% থেকে ৩৫% করা হয়েছে অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির কমদামি সিগারেট ও বেশি দামি সিগারেটের সম্পুরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে দেশীয় কুটির শিল্প বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে এ দেশের অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, পঙ্গুসহ লাখ লাখ শ্রমিক কর্মহারা হবে।

বক্তারা আরো বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প বন্ধের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন ২০৩০ সাল আর সিগারেট শিল্প বন্ধের সময় দিয়েছেন ২০৪০ সাল পর্যন্ত যা বিড়ির ওপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অত্যন্ত দুঃখজনক।
সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh