• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ: জয়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ মে ২০১৯, ০৯:৩৪

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। জানালেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও চিত্র যুক্ত করে ধেয়ে আসছে ফণী, প্রস্তুত বাংলাদেশ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় তার স্ট্যাটাসে ফণী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত। উপকূলীয় ১৯ জেলার মোট ৩,৮৬৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সকল জেলা প্রশাসকদের ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫ লাখ করে টাকা দেয়া হয়েছে। ফণীর প্রভাব মোকাবিলা ও জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০২৯৫৪৬০৭২। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের শঙ্কায় সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ, প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ। দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফণী'র পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ’র সহ সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল।

এছাড়া স্ট্যাটাসে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।

এদিকে শনিবার সকালে খুলনা ও আশপাশের এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘূর্ণিঝড়টি ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হচ্ছে। আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি খুলনাঞ্চলে আঘাত হানে। ফণীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবল থেকে নিরাপত্তার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলাগুলোর ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, স্বেচ্ছাসেবকসহ রাজনৈতিককর্মীরা উপকূলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু’
‘পুতুল সরকার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও ভোটই পছন্দ হবে না’
আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসই বিএনপি-জামায়াতের জনবিচ্ছিন্নতার প্রমাণ: সজীব ওয়াজেদ
X
Fresh