নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পর নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্য রাতে শ্রম অধিদপ্তরের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আন্দোলনরত মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত ১১ দফা নিয়ে ত্রিপক্ষীয় (শ্রমিক, মালিক, সরকার) আলোচনা হয়।
পরে কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা ও দাবি মীমাংসা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গেজেটে উল্লেখিত যেসব বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলো লিখিতভাবে শ্রম মন্ত্রণালয় বা শ্রম অধিদপ্তরকে জানালে সমাধানের উদ্যোগ নেবে সরকার।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের সুষ্ঠু জীবনমানের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানবিক বিষয়াদি অব্যাহত রাখার বিষয়টি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হবে।
নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, উৎসব ভাতা প্রদান, গেজেটের মাধ্যমে ছুটি ঘোষণা, নৌযানে সন্ত্রাস সরকারি ব্যবস্থাপনায় কল্যাণ তহবিল ও প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ, নৌযান চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের শতভাগ খোরাকি ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান।
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনা, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এবং নৌযান মালিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন