• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ মার্চ ২০১৯, ২০:৪১

আমি পরিবার হারিয়েছি, আপনজন হারিয়েছি। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম বলে প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু সেদিন বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছিল তাদের বেঁচে থাকার সব সম্ভাবনা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চোখের পানি মুছতে মুছতে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের অপঘাতে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

তিনি বলেন, আমি হারালাম আমার বাবা-মা, ছোট তিন ভাই, কামাল ও জামালের নবপরিনীতা স্ত্রী সুলতানা ও রোজী, একমাত্র চাচা শেখ আবু নাসের, আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) তিন বোনের বাড়িতে একইসঙ্গে আক্রমণ করা হয়েছিল, প্রতিটি বাড়িতেই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, প্রতিটি পরিবারের সদস্যই সেদিন নিহত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে আমার বাবাকে হারালেও, সমগ্র বাঙালি জাতি তাদের সকল সম্ভবনাকে হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশের মানুষ সেদিন হারিয়েছিল তাদের বেঁচে থাকার সব সম্ভাবনা, উন্নত জীবনের সম্ভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-সেটাই হারিয়ে যেতে বসেছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করা শুরু হয়েছিল।

------------------------------------
আরো পড়ুন : পঁচাত্তরে তিন ভাইকে হারিয়ে লাখো ভাই পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
------------------------------------

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর আমাদের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী কেউই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তবে সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। সত্যের জয় একদিন হবেই। সেটাই প্রমাণ হয়েছে আজ, সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে ঠিকই।

শেখ হাসিনা বলেন, কখনই মৃত্যুভয়ে আমি ভীত নই। বারবারই আমার ওপর প্রানঘাতী আঘাত আসায় মনে হয়েছে- হয়তো বাবার ভাগ্যই বরণ করতে হতে পারে। কিন্তু সেজন্য আমি দমে যাইনি বা কাজ থেকে কখনও দূরে সরে আসিনি। সব সময় মনে করেছি আমাকে কাজ করতে হবে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। আর সিদ্ধান্ত নিয়েই আমি আজও পথ চলছি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি দেশবাসী বিশেষ করে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার কোনও শেষ নেই এই কারণে যে, এই এলাকাটা (তার নির্বাচনী আসন) আমার দেখার কোনও প্রয়োজনই হয় না। এখানকার সব দায়িত্বই জনগণ নিয়ে নিয়েছে। আমি তিন ভাই হারিয়েছি, কিন্তু পেয়েছি লাখো ভাই।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী করে এমনভাবে গড়ে তুলবো যেখানে আগামীর শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত থাকবে এবং তারা সুন্দর জীবনের অধিকারী হবে, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন।

আজ রোববার জাতির পিতার ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুন:

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার : জয়
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh