পুরস্কার নিতে এসে প্রধানমন্ত্রীকেই পুরস্কৃত করল জোবায়দা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিতে এসে উল্টো তাকেই পুরস্কৃত করে গেল টাঙ্গাইল সদরের জোবায়দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী পিয়াসা সরকার।

বুধবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে একটি ছবি উপহার দেয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী পিয়াসা।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব মো. আশরাফুল আলম খোকন জানান, ছোট্ট পিয়াসার ছবি আঁকার হাত খুবই ভালো। ছবি আঁকাতে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারও পেয়েছে সে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বপ্নের মানুষ। গত আড়াই মাস চেষ্টা করে পিয়াসা বঙ্গবন্ধু কন্যার একটি পোট্রেট আঁকেন।

খোকন জানান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছবিটি নিয়ে তিনদিন আগে তারা ঢাকায় আসে। শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য মোট ১০৮ জনকে এই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়, পিয়াসা সেই ভাগ্যবানদের একজন। গত দু’দিন তারা অনেক চেষ্টা করেও ছবিটি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার কোনও সুযোগ খুঁজে পায়নি। নিরাপত্তা বিভাগ থেকেও বলে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত কোনও কিছু সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে না। পুরোপুরি হতাশ হয়েই মা’কে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসে পিয়াসা। কাগজে মোড়ানো ছবিটি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন বাবা শংকর চন্দ্র সরকার। মা-মেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হলেই তারা ছবিটি সঙ্গে করে নিয়েই টাঙ্গাইল চলে যেতেন, দেয়া হতো না প্রধানমন্ত্রীকে।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার নেয়ার জন্য যথারীতি নাম ডাকা হলে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে গিয়ে পুরস্কার নেয় পিয়াসা সরকার। প্রধানমন্ত্রীর শিশুসুলভ আন্তরিকতায় আরও সাহসী হয়ে উঠেন পিয়াসা। সে বলেই ফেলে ছবিটির কথা এবং কান্না করে দেয়। তাকে যে ছবিটি আনতে দেয়া হয়নি সেটিও বলে।

সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ছবিটি নিয়ে আসার জন্য। তৎপর হয়ে উঠেন সবাই। পিয়াসার কাছ থেকে তার বাবার ফোন নম্বার নিয়ে তারা যোগাযোগ করেন। বাইরে ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে ভেতরে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতায় আঁকা পোট্রেটটি তুলে দেন পিয়াসা।

আরও পড়ুন

• পড়ালেখার শুরুতেই ভর্তি পরীক্ষা আমার পছন্দ নয় : প্রধানমন্ত্রী
• পড়ালেখার নামে শিশুদের অতিরিক্ত চাপ দেয়া যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

জেএইচ