ভোটার উপস্থিতি কমের কারণ জানালেন সিইসি
আজ সকাল থেকেই বৃষ্টির মুখে পড়েছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বৃষ্টির কারণে শুরুতে রাজধানীর বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রই ছিল ভোটার শূন্য।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিজ ভোট দেয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ভোটার উপস্থিতি কম থাকার দুটি কারণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ে বা এক বছরের জন্য মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচন করা হবে। এ কারণে ভোটারদের আগ্রহ কম হতে পারে। আবার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।’
তিনি বলেন, উপনির্বাচন ও উত্তর এবং দক্ষিণের কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের। ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখেছি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু না হওয়ার কোনও কারণ নেই।
আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)।
ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এসএস
মন্তব্য করুন