ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এটিই সরকারের নীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা উন্নয়নে আমাদের সরকারের নীতি হলো ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ঈদ, পূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং ক্রিসমাস দিবস জাতীয় ছুটির হিসেবে পালন করা হয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সমাজে বহু সংস্কৃতি ও ধর্মীয় সহনশীলতা অব্যাহত রেখেছেন।বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূর্ক্তিমূলক সম্প্রদায়ের অনুসরণ: ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি বেসরকারি সংস্থা সেভ অ্যান্ড সার্ভ ও বাংলাদেশের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আয়োজন করে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বাজার মনিটরিংয়ে সারা বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত চান ক্রেতারা (ভিডিও)
--------------------------------------------------------
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থীরা স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা অনুপ্রাণিত। এরা সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র আমাদের সমাজ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ওপর আঘাত করতে চেয়েছে। এরা ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলাও ঘটিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক পাল্টা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
মাহমুদ আলী বলেন, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ মতে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সাম্প্রদায়িক উষ্কানির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংকট রোধে সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করছে। এর ফলে, স্থানীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বজায় থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো।
আরও পড়ুন :
এমকে
মন্তব্য করুন