• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বন্যায় গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, দিনাজপুর

  ২০ আগস্ট ২০১৭, ১১:৪৬

বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পাশে সরকার আছে। যারা গৃহহীন হয়েছে তাদেরকে ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে যাদের বাড়িঘর নেই, তাদেরকে খাসজমি দেখে এবং জমি ক্রয় করে হলেও বাড়ি করে দেয়া হবে। একটা মানুষও বাংলাদেশে গৃহহীন থাকবে না। সেইসঙ্গে আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত বন্যার্তদের সাহায্য দেয়া হবে।বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার দিনাজপুর জিলা স্কুল মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ১০টার পর দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে হেলিকপ্টারে করে তিনি অবতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একটা সময় এই এলাকা মঙ্গা অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর এখানে আর মঙ্গা হতে দেইনি। এবারো এখানের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রচুর পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। বন্যার কথা চিন্তা করে আগেই খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দূর করে। এর আগে উত্তরবঙ্গে হাহাকার ছিল, মঙ্গা লেগেই থাকতো। উত্তরবঙ্গে যেন মঙ্গা না থাকে আমরা তার ব্যবস্থা করি। ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে উত্তরবঙ্গে আবারও মঙ্গা দেখা দেয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে আবারও আমরা সেই মঙ্গা দূর করি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই রাস্তাঘাট সংস্কার করে দেয়া হবে। যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে কৃষিঋণ দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বন্যা, দুর্যোগ, মহামারি থাকবেই। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না এবং না খেয়ে মারা যাবে না। সবাইকে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশ থেকে খাদ্য কেনা শুরু করেছি। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। আপনারা চিন্তা করবেন না। আওয়ামী লীগ বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনী সবাই ত্রাণ বিতরণ করছে। জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন আমরাও গৃহহারা মানুষের ঘর-বাড়ি করে দিচ্ছি।

এসময় তিনি আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। আমার আর হারাবার কিছু নেই। আমার বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমি দেশের মানুষের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। প্রয়োজনে আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমিও জীবন দেব।

এনজিওগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা লোন দিয়েছেন তারা সাপ্তাহিক কিস্তি তোলার জন্য বন্যার্ত মানুষদের জুলুম করবেন না। এটা এনজিওদের প্রতি আমার নির্দেশ থাকবে। ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দিচ্ছি। আপনারা যাতে ১০ টাকা কেজি চাল খেতে পারেন তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি, শিবলি সাদিক এমপি, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গারানী লক্ষীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে রোববার বিকেলে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

জেবি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৯ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
শিক্ষা-সেবা-গবেষণায় প্রাধান্য দেবে বিএসএমএমইউ : নতুন উপাচার্য
বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত : প্রধানমন্ত্রী
‘অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায় জিয়াকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ’
X
Fresh