দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে আবহাওয়া পরিমাপক যন্ত্রে দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সেতু এলাকায় স্থাপিত আবহাওয়া পরিমাপক যন্ত্রে দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম পাওয়া গেলে সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
এ ছাড়া কুয়াশার সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়ক দিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এনএইচ/টিআই
মন্তব্য করুন
ই-লাইসেন্সধারীদের জন্য সুসংবাদ
এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংগৃহীত ই-লাইসেন্স দেখিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন চালকরা। ইতোমধ্যে এর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (২৪ মার্চ) বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এতে থাকা কিউআর কোড দ্বারা সরাসরি ডাটাবেইজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কি তথ্যাদি যাচাই করা যাবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো-২ সার্কেলের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে মোটরযান চালানো যায়। তবে এখন থেকে ই-লাইসেন্স যুক্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েও চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি অন্যান্য কাজেও স্মার্টফোনের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু, যেসব দেশ থেকে দেখা যাচ্ছে
চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ২৩ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে এশিয়ার উত্তর ও পূর্ব অংশ। পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধ থেকে সোমবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এছাড়াও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আর্কটিক ও আন্টার্টিকার বহু অংশ দেখতে পাবে গ্রহণ। তবে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে দেখা যাবে না এই গ্রহণ।
আজকের চন্দ্রগ্রহণের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে গ্রহণের সময়ে সাধারণত সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। যাকে ‘পেনম্ব্রাল’ চন্দ্রগ্রহণ বলে। এতে সূর্যের আলো পৃথিবীর উপরে পড়ে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয়। গ্রহণের এ পর্যায়ে পৃথিবী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ভাবে আড়াল করতে পারে না। বরং, চাঁদের ঔজ্জ্বল্য খানিক হ্রাস পায়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসা জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদের আংশিক গ্রহণ হওয়ার কথা। তা দেখা যাবে আফ্রিকা, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশ থেকে। এদিকে, আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।
দ্রুত ভিসা দিতে ইতালি দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, ভিএফএস গ্লোবালকে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে দূতাবাস। সেই সঙ্গে বৈধ নুলাওস্তাসহ (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টকারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে পারবে। দয়া করে ধৈর্য ধরুন এবং মনে রাখবেন ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ লাগবে না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভিএফএস গ্লোবাল তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ইতালি দূতাবাসের নির্দেশ অনুসারে, ভিএফএস গ্লোবাল ভিসার অনুরোধ ফাইল করার জন্য একটি নতুন অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। এ পদ্ধতিতে জরুরি প্রয়োজনে সব আবেদনকারীদের সেই অনুযায়ী একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার অনুমতি দেবে। নতুন এ নিয়ম কয়েক দিনের মধ্যে কার্যকর এবং সর্বজনীন হবে এবং এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়টি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, অনুমোদন আসার পর বাংলাদেশিদের ইতালিতে যেতে প্রথমে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। সম্প্রতি ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজেই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
ঈদে সরকারি চাকরিজীবীদের সমান ছুটি পাবেন শ্রমিকরা
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, শ্রমিকদের ছুটি কোনোভাবেই ঈদের সরকারি ছুটির চেয়ে কম দেওয়া যাবে না।
বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঈদের আগেই শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি আলোচনার ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী ঈদের ছুটি দিতে হবে। শ্রমিকদের ছুটি কোনোভাবেই ঈদের সরকারি ছুটির চেয়ে কম হবে না। সেই সঙ্গে ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকসহ সব খাতকে নিয়ে জাতীয় পরামর্শ পরিষদের বৈঠক হয়েছে। তৈরি পোশাক খাত নিয়ে এরইমধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মালিকপক্ষ সম্মত হয়েছেন কোন অবস্থায় শ্রমিকরা রাস্তায় নামবেন না। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
তবে কবে শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই একসঙ্গে দিতে পারবে না, একেকটি কারখানা একেক সময় দেবে। তবে ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের পাওনা দিতে হবে। ঈদের আগে লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না।
জিম্মি জাহাজের নাবিকদের জন্য ছাগল-দুম্বা আনছে জলদস্যুরা
আঠারো দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের জন্য তীর থেকে ছাগল ও দুম্বা আনছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ফলে তারা খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়ায়, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলদস্যুরা কোনো জাহাজ জিম্মি করলে সাধারণত তারাই খাবার সরবরাহ করে থাকে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
জিম্মি জাহাজের নাবিকদের থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে ছাগল ও দুম্বা আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।
জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আশা করি খাবার নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করার। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
ট্রেনের টিকিট : একদিনে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা লোকসান
আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় দিনের মধ্যে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রেলের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এদিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন অথবা অ্যাপে টিকিট কাটার চেষ্টায় দুই কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে তা চার কোটির বেশি বার। এতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি গ্রাহক টিকিট কাটতে গিয়ে ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ করেছেন। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক টিকিট পাননি। সেই হিসেবে এদিন টিকিট কাটতে যেয়ে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও গ্রাহকদের দাবি প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টায় ২০ টাকা করে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
তবে এ সময় গড়ে প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা ধরে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে যে ১০ হাজার গ্রাহক সাড়ে ৩৩ হাজার টিকিট নিতে সক্ষম হয়েছেন তাদেরও টিকিটপ্রতি অনলাইন সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ৯৫ শতাংশ টিকিট। এদিকে দুপুর ২টায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি চেয়ার, কেবিন, নন-এসি চেয়ার ও এসি-চেয়ারের টিকিটও শেষ হয়ে যায়। তার পরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য অ্যাপে প্রবেশ করেন।
জনগণের টাকা লোকসান এবং সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এত উন্নয়ন ও এত সক্ষমতা থাকার পরও টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি বেসরকারি খাতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় ব্যক্তি পকেটে চলে যাচ্ছে, গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রয়ের স্থান থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই রেলের, সরকার চাইলেই টিকিট বিক্রয়ের পুরো বিষয়টা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম নির্ধারণ
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়েছে সরকার। নতুন দাম অনুসারে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হবে ১০৬ টাকায়। আগামীকাল ১ এপ্রিল থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে।
তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম আগের মতোই রয়েছে। সে অনুসারে লিটারপ্রতি অকটেন ১২৬ টাকা আর পেট্রোল ১২২ টাকায় বিক্রি হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার (৩১ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানায়। জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকার আলোকে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।
ওই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ নির্ধারণ করা হয়। তখন লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনে ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪ টাকা ও পেট্রোলে ৩ টাকা কমানো হয়েছিল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় প্রতিবেশি দেশ ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০ দশমিক ৭৬ রুপি বা ১৩০ টাকা ৬৯ পয়সা (১ রুপি=১.৪৪ টাকা ধরে) এবং পেট্রোল ১০৯ দশমিক ৯৪ রুপি বা ১৫৮ টাকা ৩১ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে, যা বাংলাদেশ থেকে বেশি।