• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সড়ক উন্নয়নে ধীরগতি ও ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চায় সংসদীয় কমিটি

আরটিভি নিউজ

  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৫৭
সড়ক উন্নয়নে ধীরগতি

সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও শেষ হচ্ছে না। বছরের পর বছর সড়কের কাজ বাস্তবায়নে ধীরগতি, অব্যবস্থাপনা এবং ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদীয় কমিটি। সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।

সূত্র জানায়, বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জোনের চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে গোবিন্দগঞ্জ–মদনপুর–দিরাই–শাল্লা–জলসুখা–আজমিরিগঞ্জ–হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা–জলসুখা অংশ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি মাত্র ৩ শতাংশ।

ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের দুটি অংশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ চার লেনে উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। পরে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয়নি। বেশির ভাগ প্রকল্পেই এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ গণমাধ্যমকে বলেন, সড়কের চারটি জোন নিয়ে আলোচনা করেছি। বারবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো, বাস্তবায়নের অগ্রগীত সন্তুষ্টজনক না থাকা। প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি কীভাবে সমান হয়—এসব বিষয় কমিটি জানতে চেয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকে পুরো সময় জুড়ে সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির একাধিক সদস্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন, সড়কের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ কবে শেষ হবে। যদিও মন্ত্রণালয় এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। সরকার একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে অহেতুক ধীরগতি, অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করেন কমিটির একাধিক সদস্য।

কমিটির বৈঠকে সড়কের ঢাকা জোনের অসমাপ্ত ৯টি প্রকল্পের সময় বাড়ানোর কারণ ও ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন কমিটির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা প্রকল্পে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে, সেখানে দেখা গেছে প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি সমান সমান। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হওয়ার কথা নয়। এক শতাংশ হলেও তো পার্থক্য থাকবে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয় কোনো যুক্তি দিতে পারেনি।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম ও আহসান আদেলুর রহমান প্রমুখ।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিপি
বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত, হাসপাতালে মা 
ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ
স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর
X
Fresh