• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যারা সাম্প্রদায়িক হামলা করে, তারা মানবতার শত্রু: নাছিমা বেগম

আরটিভি নিউজ

  ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৫৫
Those who carry out communal attacks are the enemies of humanity: Nasima Begum
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম

‘যারা সাম্প্রদায়িক হামলা করে, তারা মানবতার শত্রু। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে তাদের রুখে দিতে হবে।’বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

‘আদিবাসী মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের সম্মেলন ২০২১’–এ আজ প্রধান অতিথি ছিলেন নাছিমা বেগম। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কাপিং ফাউন্ডেশন এ সম্মেলনের আয়োজন করে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমতলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা আজকের সম্মেলনে অংশনেন।

অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কুমিল্লার ঘটনার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সেই অসাম্প্রদায়িকতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতেই হবে।

নাছিমা বেগম বলেন, মানবাধিকারকর্মীরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখেন।মানবাধিকারকর্মীদের অবশ্যই তাদের নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেক সময় মানবাধিকারকর্মীরা তাদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কিছু কাজ করে থাকেন। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজ করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের লোগো ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের একটা বড় সমস্যা হলো ভূমি। তাদের নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করে ভূমিসংক্রান্ত নানা জটিলতা। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ সমস্যা সমাধানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে।

আজকের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন মন লিউভন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি বহু সংস্কৃতি আছে। আছে বৈচিত্র্য। সেই বৈচিত্র্য সংরক্ষণ দরকার। আর এর সহযোগিতায় নেদারল্যান্ডস সরকার সব সময় কাজ করে যাবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘বৈচিত্র্য কোনো হুমকি নয়। বৈচিত্র্য একটি শক্তি আর এতে আছে সৌন্দর্য। যদি আমরা বৈচিত্র্যকে শিকার না করি, তাহলে সৌন্দর্যকেই অস্বীকার করব।’

সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিবাসীরা পিছিয়ে থাকা মানুষ। তাদের এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সব সমাজেই পিছিয়ে থাকা মানুষ থাকে। তাদের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আপিল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা। তিনি বলেন, ‘কাপেং ফাউন্ডেশন ২০০৯ সাল থেকে মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে। যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তখন আমরা দুঃখিত হই, নিরুৎসাহিত হই। কিন্তু যখন আমাদের পাশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এগিয়ে আসে, তখন আমরা উৎসাহ বোধ করি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সচেষ্ট হলে মাঠপর্যায়ের প্রশাসনও তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করবে।’

পল্লব চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ‘মানবাধিকারকর্মীরা ভূমিসংক্রান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করতে গেলে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়।’

আজকের সম্মেলনে মানবাধিকার প্রতিবেদন তুলে ধরেন থাকে ‘কাপেং ফাউন্ডেশনের’ হেলেনা তালাং। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকার মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরছেন।

কেএফ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘প্রীতি ওরাংয়ের মৃত্যুতে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে’
X
Fresh