• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মুরগি, ডিম ও মাছের দাম বেড়েছে

আরটিভি নিউজ

  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৫
মুরগি, ডিম ও মাছের দাম বেড়েছে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে এসেছেন আজিমপুরের বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, শুধু মুরগি না মাছ, মাংস, ডিম, সবজি ও মসলার দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে দাম বেশি বেড়েছে মুরগি, ডিম ও ইলিশ মাছের।

তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগি আগে কিনেছি ১৫৫ টাকায়। আজ সেটা ১৬৫ টাকা কেজি প্রতি কিনতে হয়েছে। সোনালী ৩০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা । এমনিতেই করোনার মধ্যে খুব কষ্টে আছি। তার ওপর যদি বাজারের এই অবস্থা হয়। তাহলে আমরা কোথায় যাবো?

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম। করোনাকালীন সময়ের তুলনায় চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়া এবং অনেক খামারিরা ব্যবসা বন্ধের দোহাই দিয়ে এসবের দাম বেড়েছে বলা হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা এদিন পাকিস্তানি কক বিক্রি করেছেন কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা। এর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা।

এছাড়াও বেড়েছে ডিমের দামও। এ সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে প্রতি ডজনে ১০ টাকার মতো। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকার মধ্যে। আর মুদি দোকানে গত সপ্তাহে এক পিস ডিম বিক্রি হয় ৯ টাকা, এখন তা বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতিপিস ডিম ১১ টাকাও বিক্রি করছেন।

মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী ফয়েজ বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী সরবরাহ নেই। পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। করোনা শেষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার প্রবণতা বাড়ছে। তাই মুরগির চাহিদা খুব বেশি। কিন্তু সে অনুযায়ী নেই উৎপাদন। করোনায় অনেক খামারি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া, খামারে মুরগির উৎপাদন কমেছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।

এছাড়াও তেলের দাম বাড়েনি লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। চিনির দাম ১৫ দিন‌ যাবত ৮৫ কেজি প্যাকেট। খোলা ৮০ টাকা। সরকার ৭৫ টাকা বেধে দিলেও তা মানছে না আড়তদাররা। মসুর ডাল কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । আগে ছিল ১০০ টাকা। চালের দাম গত সপ্তাহের মতই আছে মিনিকেট ৫৭-৫৯ টাকা কেজি। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকা কেজি প্রতি।

গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। যা পূর্বে ছিল ৭০০ টাকা কেজি। হড়িনা চিংড়ি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। কাঠালি চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা কেজি।

খাসির মাংস সাড়ে ৮০০টাকা। গরু ৬০০ টাকা কেজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

বেগুন ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যা পূর্বে ৬০ ছিল টাকা। কাচা মরিচ-গত সপ্তাহে ১০০- এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, কাচা কলা ৫০ টাকা হালি, টমেটো ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আগে ছিল ৯০-৮০ টাকা। শিম ১৫০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ১৬ টাকা, আদা-রসুন ১০০টাকা।

ইলিশ মাছ বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, সরবরাহ কম আর পূজার কারণে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে বলে ইলিশের দাম বেড়েছে। ইলিশ মাছ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে । প্রতি কেজি ইলিশ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

এসজে/

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেনীতে গরু, মুরগি ও ছাগলের মাংসের দাম নির্ধারণ
মুরগির পচা মাংস সংরক্ষণ, হোটেল সিলগালা
যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে ১০ টাকায় ডিম, ২০০ টাকায় ব্রয়লার
‘সাধারণ মানুষ খাবে বরই, বিত্তবানরা খেজুর আর মুরগির রান’
X
Fresh