প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি দুই মাস ধরে কমতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে রেমিট্যান্স কমেছে। এই দুই মাসে ৩৬৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অথচ করোনা মহামারির মধ্যে গত অর্থবছরে একই সময়ে ৪৫৬ কোটি ২১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তুলনা করলে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, চলতি বছরের আগস্টে ১৮১ কোটি ডলার এসেছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫ কোটি ডলার কম। ২০২০ সালের আগস্টে ১৯৬ কোটি মার্কিন ডলার এসেছিল।

প্রবাসীদের আয় কমে যার বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, করোনা মহামারিতে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় হুন্ডিও বন্ধ হয়ে যায়। প্রবাসীরা বাধ্য হয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বিমান চলাচল শুরু হওয়ায় আবারও হুন্ডি বেড়েছে। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অনেক দেশে এখনও লকডাউন চলছে। এতেও প্রবাসীদের আয় কমেছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রবাসীরা দেশে আসায় আর বিদেশে যাননি। এছাড়া হুন্ডি চালু হওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমেছে। এভাবে চলতে থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হোঁচটের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ কর্মী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু সৌদি থেকেই ফিরেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার জন। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার, কাতার থেকে ৪৯ হাজার, ওমান থেকে ২৪ হাজার ৪৫৭, মালয়েশিয়া থেকে ১৭ হাজার ১০৬, মালদ্বীপ থেকে ১৬ হাজার, কুয়েত থেকে ১৫ হাজার ২২৭, ইরাক থেকে ১০ হাজার, লেবানন থেকে আট হাজার ৭৬২, সিঙ্গাপুর থেকে আট হাজার ৪২৪ ও বাহরাইন থেকে সাড়ে চার হাজার কর্মী ফিরে এসেছেন।

এফএ