বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঢিলেঢালা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে চেকপোস্টে ঢিলেঢালা ভাব। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়েছেন। তবে গণপরিবন বন্ধ থাকায় রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ ও র্যাব নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে রাজধানীর সব এলাকায় বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সমানভাবে তৎপর দেখা যায়নি।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় স্থাপিত পুলিশ চেকপোস্টে শুক্রবার দুপুরে ঘণ্টাখানিক বেশ কয়েকজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করন। পরে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে। তবে তাকে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি। সেখানে প্রগতি সরণির দুই পাশের রাস্তা দিয়ে রিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে অনেক মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় রাজধানীর অন্যান্য স্থানেও অনেকেই বিনা কারণে ঘর থেকে বেরিয়েছেন। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার নির্বিঘ্নে যাত্রী ওঠানামা করছে। এমন দেখা গেছে, অনেকের অফিস খোলা থাকায় বাসা থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে রিকশায় পড়ে অফিসে যান।
সাভারে সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীদের ভিড়। ঈদের ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীতে আসছেন মানুষ। লকডাউনের কারণে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা এবং ভ্যানে করে আসছে অনেকেই।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা মোজ্জামেল বলেন, একটি কারখানার সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। লকডাউনের কারণে আগেভাগেই ঢাকায় ফিরেছেন।
বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের পুলিশ চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্ট) ফজলুল হক বলেন, ভোর ৬টা থেকে আমরা চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছি। যাদের জরুরি কাজ রয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলে ছেড়ে দিচ্ছি এবং যারা বিনা কারণে বের হয়েছে তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া কিছু লোক এখনও গ্রাম থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরছে তাদের জিজ্ঞাবাদ করে গন্তব্যে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
এফএ
মন্তব্য করুন