• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘বাস চালাইতে দেন, একজন কইরাই যাত্রী টানমু’

আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৫
বাস চালক: ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান-শপিংমলের সঙ্গে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবহন খাত। গত বছর থেকে কয়েকধাপে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেড় মাস পর দূরপাল্লার বাস ও নগরীর ভেতরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও খুব বেশি আশার আলো দেখছেন না পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে কয়েক দিনের জন্য পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এখানে অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চলাচল করতে হবে। আবার ঈদের একদিন পরেই পরিবহন বন্ধ রাখতে হবে। ফলে আবারও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ কমাতে চলতি কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল রাখা হয়েছে। এতে আটদিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। তবে খুলে দেয়া হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে ‘আশার আলো’দেখছেন না পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

বুধবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সবচেয়ে বড় দুটি বাসস্ট্যান্ড সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে।

তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শহর ছেড়ে গ্রামে এবং গ্রাম থেকে শহরে মানুষ আসবে না। ঈদের দুই দিন আগে এবং ঈদের পরের দিন বাসে যাত্রীদের চাপ থাকতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ধাপে ধাপে বিধিনিষেধে প্রায় চলাচল বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তাই অনেকটাই সংকটের মুখে সড়ক পরিবহনখাত।

যাত্রবাড়ী দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি করছেন আশরাফ তালুকদার। তিনি বলেন, করোনার কারণে পরিবহন খাতে মালিক-শ্রমিক সবার অবস্থা খারাপ। অনেক দিন পর গাড়ি চলবে, মালিক-শ্রমিকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু কয়েকদিন পরিবহন চলাচলের পর ফের বন্ধ করতে হবে। এজন্য অনেকের ব্যবস্থা চাঙ্গা হবে না।

বাস চালক শরিফ ও ওসমান বলছেন, দিনে পর দিন বাস বন্ধ থাকলে আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কারণ আমরা তো বাস চালানো ছাড়া অন্যকোনো কাজ করতে পারি না। আমাগো চলার তো রাস্তা নাই। এতদিন বন্ধের পর এক সপ্তাহ টাইম দিছে, তাও দুই সিটে একজন। কী অইব বলেন? আমগো সারা মাস গাড়ি চালাইতে দেন, আমরা একজন কইরাই যাত্রী টানমু। এটাই আমগো দাবি।

বাসের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হইতেও সময় লাগে। এর মধ্যে মাত্র আটদিন খোলা। আবার দুই সিটে যাবে একজন, কিন্তু দুই সিটের ভাড়া তো পাওয়া যাবে না। এতে মালিক ও শ্রমিকরা উভয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, একটি মেয়েও আছে’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত
X
Fresh