যেসব কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বসছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সিসি ক্যামেরায় আওতায় আসছে। ইতোমধ্যে মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বসানোর টেন্ডার হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
টাস্কফোর্সের সভায় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি শাজাহান খান, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙা, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা সশরীরে ও ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাইওয়েতে সিসি ক্যামেরা লাগাচ্ছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পুরোপুরি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে, কে সড়কে গাড়ি নামালো, সবগুলোই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমাদের পুলিশ বাহিনী সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাবেন কে কি করছেন।
মহাসড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদা বাণিজ্যের কথা আমি বলবো না, আমি বলবো একটা টোল আছে, সেটা দিতে হবে। সেটা কোথা থেকে নেবে, কিভাবে এবং কত টাকা নেবে সেটা নির্ধারিত হবে। সেই জায়গা ছাড়া এই টোল কেউ নিতে পারবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবহনের যে চাঁদা, যেটা মালিক বা শ্রমিকরা নিয়ে থাকে সমিতি চালানোর জন্য, সেটাও নির্ধারিত রয়েছে। সে চাঁদাও বাস টার্মিনাল বা যেখান থেকে বাস ছাড়েন এর বাইরে কেউ নিতে পারবে না।
ঢাকাতেও আমরা দেখি বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে বিভিন্ন সিগন্যালে রানিং গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হয়, এটা সবাই জানে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, যে-যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বসে তাদের জানিয়ে দেবে, এসব চাঁদাবাজি কিংবা যত্রতত্র কালেকশন যাতে না করে।
এফএ
মন্তব্য করুন