রংপুরের শতরঞ্জি জিআই স্বীকৃতি পেল
রংপুরের শতরঞ্জি। এটি রংপুরের ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। জামদানির পর এবার রংপুরের শতরঞ্জি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শতরঞ্জি স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রংপুরের শতরঞ্জি স্বীকৃতির বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ডিপিডিটি উদ্যোগে আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধাসম্পদ” সেমিনার এবং বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২১ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসানের হাতে এই স্বীকৃতির সনদ তুলে দেন।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে রংপুরে শতরঞ্জি বুননের কাজ শুরু হয়। বর্তমান বিশ্বে শতরঞ্জি চাহিদা ব্যাপক। শতরঞ্জি তৈরিতে কোনো ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। এটি হস্তজাত পণ্য। বাঁশ ও রশি দিয়ে টানা দেওয়া হয়। পাটের তৈরি সুতো দিয়ে সম্পূর্ণ হাতে নকশাখচিত শতরঞ্জি তৈরি করা হয়। কোনো রকম জোড়া ছাড়া শতরঞ্জি তৈরি করা যায়।
জিআই পণ্য হিসেবে রংপুরের শতরঞ্জি নিবন্ধনের জন্য ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বিসিক পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক্স অধিদপ্তরে আবেদন করে। পরে ২০২০ সালের নভেম্বরে ‘বাংলাদেশ ফর্মস এন্ড পাবলিকেশন্স অফিস’ এ “রংপুরের শতরঞ্জি”র জার্নাল প্রকাশিত হয় এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে শতরঞ্জির ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ দেয় ডিপিডিটি।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এফএ
মন্তব্য করুন