• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ

আরটিভি নিউজ

  ০৮ মে ২০২১, ১৯:৩৬
ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানে নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটছেন মানুষ। এতে বাসস্ট্যান্ড ও ফেরি ঘাটে উপচেপড়া ভিড় তৈরি হয়েছে।

রাজধানীর গাবতলী, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী শনিবার সারাদিন ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার ঘরমুখী মানুষের ভিড়। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে বিশেষ কায়দায় শহর ছেড়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। গুণতে হচ্ছে তিনগুণের বেশি ভাড়া। এরপরও ঘরমুখী মানুষ বলেছেন- বাড়ি যেতে পারলে স্বস্তি মিলবে।

আমাদের মানিকগঞ্জ ও মুুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, একই অবস্থা পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরিঘাটে। সেখানে বাড়িমুখী হাজারো মানুষ ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

যাত্রাবাড়ীতে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন। দলবেঁধে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। অনেকে আবার যাত্রাবাড়ী থেকে ভেঙে ভেঙে কুমিল্লায় রওনা দিয়েছেন। ২০০ থেকে ৩০০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।

কুমিল্লা যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী এসেছেন ফখরুজ্জামান। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় যাবেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকারে বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু প্রাইভেটকারে ভাড়া তিনগুণ বেশি। কুমিল্লার রেগুলার ভাড়া ২০০ টাকা। কিন্তু এখন যেতে হচ্ছে ৬০০ টাকায়। কী করব পরিবার নিয়ে ঈদ করতে হবে। তাই বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। তারপরেও বাড়িতে যেতে পারছি এটাই স্বস্তি।

নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে আবদুর রশিদ সায়েদাবাদ স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকারে করে বাড়িতে যাওয়া যায় শুনেছি। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি একজন লোক নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে যাওয়ার যাত্রী ডাকছেন। জিজ্ঞেস করলাম ভাড়া কত? বললো ১৫০০ টাকা। কিন্তু ভাড়াটা দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।

তিনি বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছে মানুষ। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন খুলে দিলে ভালো হতো।

বগুড়ার উদ্দেশে গাবতলী এলাকায় মাইক্রোবাসে যাত্রী ডাকছেন ড্রাইভার লিয়াকত আলী। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় লকডাউনের মধ্যে মাইক্রোবাস চালিয়ে ভালো আয় করেছেন বলে জানান তিনি। লিয়াকত আলী বলেন, গণপরিবহন বন্ধ করায় যাত্রীদের চাপ বাড়ার সঙ্গে ভাড়াও বেড়েছে। আগে ১ হাজার টাকা দিয়ে মানুষ বগুড়ায় যেতে পারতেন এখন প্রতিজনের ভাড়া দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপরও গাড়ি পাচ্ছেন না যাত্রীরা। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করা লাগে। রাস্তায় পুলিশ ধরলে টাকা পয়সা দিতে হয়।

এফএ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছেন মানুষ
X
Fresh