• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

গার্মেন্টস মালিকদের শাস্তির দাবি

আরটিভি নিউজ

  ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৪
গার্মেন্টস মালিকদের শাস্তি দাবিতে যৌথ বিবৃতি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও গার্মেন্টস খোলা রয়েছে। তবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়ার জন্য কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করেননি গার্মেন্টস মালিকরা। সেজন্য কষ্ট করে শ্রমিকদের হেটেই কারখানায় যেতে হয়েছে। লকডাউনের সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পরিবহনের ব্যবস্থা না রাখায় কারখানার মালিকদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার সর্বাত্মক বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। কিন্তু মুনাফালিপ্সু পোশাক মালিকদের জোটবদ্ধ চাপের কাছে সরকার নতিস্বীকার করে নিজ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা এবং কারখানায় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়নের শর্তে বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাককারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেয়। উৎপাদন এবং রফতানির প্রয়োজন দেখিয়ে শর্তসাপেক্ষে কারাখানা খোলা রাখার অনুমতি নিয়ে গার্মেন্টস মালিকদের অনেকেই পূর্বের মতই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করেননি এবং কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘পরিবহন ব্যবস্থা ছাড়া শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে একদিকে যেমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, যাতায়াতে অতিরিক্ত সময় এবং রিকশা বা ভ্যানভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঝুঁকিভাতা কিংবা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কাজ চালু রাখতে হচ্ছে। এর ফলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে, শ্রমিকরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন আর দীর্ঘমেয়াদে শ্রমিকরা অল্প বয়সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজের বোঝায় পরিণত হতে পারেন।’

এসময় নেতৃবৃন্দ পরিবহনের ব্যবস্থা না করে শ্রমিকদের অতিরিক্ত ঝুঁকি ও হয়রানির মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য দায়ী মালিকদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে যেসব শ্রমিক, তাদের ঝুঁকিভাতা দিতে হবে এবং ফ্রন্ট লাইনার হিসাবে বিবেচনা করে করোনা পরীক্ষা এবং টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।’

করোনার অজুহাতে গত বছরের মতো শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন-ভাতা কর্তন, নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে প্রতিরোধমূলক শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh