দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ১৭ লাখ
সারা দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ভোটার আছেন ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন। ভোটারদের তালিকায় দেখা গেছে, পুরুষ ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৫১ লাখ ২২ হাজার ২২৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪৪১ জন।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাসী
আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় ভোটার দিবসে হালনাগাদ ভোটার তালিকা আজ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার হালনাগাদ ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৬ জন ভোটার যুক্ত হয়েছেন তালিকায়। আর বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃত্যুজনিত কারণে বাদ পড়েছেন ১৬ হাজার ৪৯৯ জন।
আরও পড়ুন : ৩০ ফুট উঁচু খেজুরগাছে উঠে নামাজ আদায়
১৭ জানুয়ারি হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এফএ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের ফিতরার হার নির্ধারণ করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
হিজরি ১৪৪৫ সনের হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এর আগে, গত বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতে হয়।
জিম্মি নাবিকদের খাবারের অভাব হবে না, জলদস্যুদের আশ্বাস
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। যখন জাহাজটি এ দুর্ঘটনায় পড়ে তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। গত ১০ দিন সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসায় জলদস্যুরা। ফলে দ্রুত সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল নাবিকরা। এ খবরে তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। জাহাজ জিম্মির ৮ দিন পেরোনোর পর বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দূর হয় সেই উৎকণ্ঠা। কারণ, জিম্মি নাবিকদের খাবার ও পানির অভাব হবে না বলে জানিয়েছে দস্যুরা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আজও যোগাযোগ হয়েছে। জিম্মি থাকলেও তারা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে, তা বেশি দিন যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে এটা ফুরিয়ে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি থাকা অনেক জাহাজকে এক বছরও অপেক্ষা করতে হয়। এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। তখনও কেউ খাবার ও পানির কষ্ট করে না। জলদস্যুরা নিজ দায়িত্বে এটার ব্যবস্থা করে। তারপরও আমরা বিকল্প পথে এগোচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
এদিকে জিম্মি জাহাজে খাবার ও পানি পাঠাতে কেনিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সাহায্য চেয়েছে মালিকপক্ষ। সেই সঙ্গে কয়েকটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। তবে জলদস্যুরা সরাসরি যোগাযোগ করায় বিষয়টি সহজ হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
ই-লাইসেন্সধারীদের জন্য সুসংবাদ
এখন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংগৃহীত ই-লাইসেন্স দেখিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন চালকরা। ইতোমধ্যে এর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (২৪ মার্চ) বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এতে থাকা কিউআর কোড দ্বারা সরাসরি ডাটাবেইজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কি তথ্যাদি যাচাই করা যাবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো-২ সার্কেলের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে মোটরযান চালানো যায়। তবে এখন থেকে ই-লাইসেন্স যুক্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েও চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি অন্যান্য কাজেও স্মার্টফোনের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু, যেসব দেশ থেকে দেখা যাচ্ছে
চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ২৩ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে এশিয়ার উত্তর ও পূর্ব অংশ। পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধ থেকে সোমবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এছাড়াও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আর্কটিক ও আন্টার্টিকার বহু অংশ দেখতে পাবে গ্রহণ। তবে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে দেখা যাবে না এই গ্রহণ।
আজকের চন্দ্রগ্রহণের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে গ্রহণের সময়ে সাধারণত সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। যাকে ‘পেনম্ব্রাল’ চন্দ্রগ্রহণ বলে। এতে সূর্যের আলো পৃথিবীর উপরে পড়ে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয়। গ্রহণের এ পর্যায়ে পৃথিবী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ভাবে আড়াল করতে পারে না। বরং, চাঁদের ঔজ্জ্বল্য খানিক হ্রাস পায়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসা জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদের আংশিক গ্রহণ হওয়ার কথা। তা দেখা যাবে আফ্রিকা, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশ থেকে। এদিকে, আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।
দ্রুত ভিসা দিতে ইতালি দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, ভিএফএস গ্লোবালকে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে দূতাবাস। সেই সঙ্গে বৈধ নুলাওস্তাসহ (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টকারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে পারবে। দয়া করে ধৈর্য ধরুন এবং মনে রাখবেন ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ লাগবে না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভিএফএস গ্লোবাল তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ইতালি দূতাবাসের নির্দেশ অনুসারে, ভিএফএস গ্লোবাল ভিসার অনুরোধ ফাইল করার জন্য একটি নতুন অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। এ পদ্ধতিতে জরুরি প্রয়োজনে সব আবেদনকারীদের সেই অনুযায়ী একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার অনুমতি দেবে। নতুন এ নিয়ম কয়েক দিনের মধ্যে কার্যকর এবং সর্বজনীন হবে এবং এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়টি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, অনুমোদন আসার পর বাংলাদেশিদের ইতালিতে যেতে প্রথমে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। সম্প্রতি ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজেই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
জিম্মি জাহাজের নাবিকদের জন্য ছাগল-দুম্বা আনছে জলদস্যুরা
আঠারো দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের জন্য তীর থেকে ছাগল ও দুম্বা আনছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ফলে তারা খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়ায়, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলদস্যুরা কোনো জাহাজ জিম্মি করলে সাধারণত তারাই খাবার সরবরাহ করে থাকে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
জিম্মি জাহাজের নাবিকদের থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে ছাগল ও দুম্বা আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।
জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আশা করি খাবার নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করার। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
ট্রেনের টিকিট : একদিনে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা লোকসান
আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় দিনের মধ্যে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রেলের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এদিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন অথবা অ্যাপে টিকিট কাটার চেষ্টায় দুই কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে তা চার কোটির বেশি বার। এতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি গ্রাহক টিকিট কাটতে গিয়ে ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ করেছেন। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক টিকিট পাননি। সেই হিসেবে এদিন টিকিট কাটতে যেয়ে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও গ্রাহকদের দাবি প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টায় ২০ টাকা করে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
তবে এ সময় গড়ে প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা ধরে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে যে ১০ হাজার গ্রাহক সাড়ে ৩৩ হাজার টিকিট নিতে সক্ষম হয়েছেন তাদেরও টিকিটপ্রতি অনলাইন সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ৯৫ শতাংশ টিকিট। এদিকে দুপুর ২টায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি চেয়ার, কেবিন, নন-এসি চেয়ার ও এসি-চেয়ারের টিকিটও শেষ হয়ে যায়। তার পরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য অ্যাপে প্রবেশ করেন।
জনগণের টাকা লোকসান এবং সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এত উন্নয়ন ও এত সক্ষমতা থাকার পরও টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি বেসরকারি খাতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় ব্যক্তি পকেটে চলে যাচ্ছে, গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রয়ের স্থান থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই রেলের, সরকার চাইলেই টিকিট বিক্রয়ের পুরো বিষয়টা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।