• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনা মোকাবিলায় প্রকল্পের খরচ বাড়ছে

আরটিভি নিউজ

  ০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৫৯
coronavirus, project, buy
করোনা মোকাবিলায় প্রকল্পের খরচ বাড়ছে

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ নামে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। শীত মৌসুমে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৫ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। ৫০৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ খরচ বাড়ছে।

করোনা মোকাবিলায় প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছিল ২৭৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার এবং বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক সাহায্য হিসেবে দিচ্ছিল ৮৫০ কোটি টাকা।

এখন প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ হাজার ৮১৫ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার এবং বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক সাহায্য হিসেবে দিচ্ছে ৬ হাজার ৬০৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

প্রকল্পটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত রাখারও প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিইসি সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রকল্পের অর্থ যেভাবে ব্যয় হবে- দেশের ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা। আইইডিসিআর ও বিআইটিআইডিতে বিএসএল-৩ ল্যাব স্থাপন করা। একটি মোবাইল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এ বাবদ ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা। ১০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সংক্রামক হাসপাতালে ৫ শয্যার আইসিইউ সেন্টার স্থাপন করা।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি, চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি, সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি, চট্টগ্রাম স্থলবন্দরে একটি এবং মংলা স্থলবন্দরে একটিসহ মোট সাতটি মেডিকেল স্ক্রিনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।

করোনার ভ্যাকসিন কেনা থেকে মানুষের শরীরে দেয়া পর্যন্ত মোট খরচ করা হবে ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভ্যাকসিন কেনায় খরচ করা হবে ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোভেক্স (২০ শতাংশ) ১ হাজার ২৯১ কোটি ২৪ লাখে এবং সরাসরি কেনায় (১১ শতাংশ) ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হবে। ভ্যাকসিন কেনার পর স্টোরেজ ও কোল্ড চেইনের জন্য ২৬৩ কোটি ৩৪ লাখ এবং পরিবহন ও অপারেশনালে খরচ করা হবে ৭৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

প্রকল্পের সংশোধনীর বিষয়ে বলা হয়েছে- প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন চারটি কারণে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) বিশ্ব ব্যাংকের সাথে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কো-লেন্ডিং করবে। এই অর্থ এ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। এআইআইবির দেয়া অর্থ বাস্তবায়নের জন্য নতুন কার্যক্রম চিহ্নিত করে এ প্রকল্পের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা; করোনার ভ্যাকসিন কেনা বাবদ বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি দেয়া ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা; করোনা ভাইরাসের বারবার মিউটেশনের কারণে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড কন্ট্রোল মেকানিজম’ পরিবর্তন হওয়ায় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা; করোনা পরিস্থিতির শুরুতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে যথাযথ চাহিদা নিরূপণ করে এবং যথেষ্ট পর্যালোচনা করে ডিপিপি প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে ডিপিপিতে বিদ্যমান অসঙ্গতি দূর করা এবং উদ্ভুত নতুন চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ডিপিপি সংশোধন করা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র বলছে, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জাতীয় জীবনে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার দ্রুততম সময়ে সঠিক কৌশল অনুসরণ করায় এখন পর্যন্ত এ দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে এ অনাহুত দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংকের জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা) ঋণ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং পরে ২ জুন একনেক সভায় তা অনুমোদিত হয়েছিল।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি হয়েছে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে ১১৫ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া
বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বাড়ছে : ড্যাব
ইসরায়েলে ইরানের হামলা : প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
X
Fresh