‘নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জরুরি’
২০১০ শিক্ষানীতির আলোকে আধুনিক ও জীবনমুখী শিক্ষা বাস্তবায়ন করতেই প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবই ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। শিক্ষামন্ত্রী বললেন, পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবধরনের ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে পুরোনো পদ্ধতির বদলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে সিলেবাস পরিমার্জন ও নতুন পাঠ্যবই প্রকাশের কাজ প্রায় শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, নতুন পদ্ধতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ও বাস্তবমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। নতুন পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শুধু পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাপদ্ধতি না রেখে বার্ষিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হবে। এতে কোচিং নির্ভরতা কমবে।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা না বাড়াতে পারলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।
অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতেই কাজ করা হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছি। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের সমস্ত কাজ শেষ করা হবে।
পি
মন্তব্য করুন