অবরুদ্ধ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-কর্মকর্তারা
ছয় দফা দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায় করছে। এই বাড়তি ফি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে টিউশন ফি কমাতে হবে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দেশে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ায় নর্থ সাউথ গত সেমিস্টারে ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করেছিল। এখন টিউশন ফি বিনা নোটিশে বাতিল করেছে। অথচ করোনা মহামারি এখনও শেষ হয়নি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২০ শতাংশ টিউশন ফি ওয়েভার, কোটা ও ফলাফলের ওপর প্রাপ্ত ওয়েভারের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত, অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ ওয়েভার প্রদান, সেমিস্টার ফির সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করা এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ছয় দফা দাবির নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফায় বসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা বসতে রাজি হয়নি। আজকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আন্দোলনের মুখে বিকেলের দিকে অবশ্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মানতে নারাজ। সেজন্য লাগাতার আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী আহাদুল ইসলাম আহাদ বলেন, করোনা মহামারিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ল্যাব ও লাইব্রেরি ব্যবহার না করলেও শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের কথা বলছে। আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভিসি স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে জানান। বাধ্য হয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সকল গেট বন্ধ করে ভিসিসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তাদের ক্যাম্পাসের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
পি
মন্তব্য করুন