• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

 ‘কোকাকোলা’, ‘পেপসি’ নামে বিশেষ কোডে বাংলাদেশে গরু পাচার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৫০
 ‘কোকাকোলা’, ‘পেপসি’ নামে বিশেষ কোডে বাংলাদেশে গরু পাচার  Cow smuggling in Bangladesh under special codes called 'Coca-Cola' and 'Pepsi'
ট্রাকে করে গরু পাচার (ফাইল ছবি)

২০১৭-’১৮ সালে ‘পেপসি’, ‘কোকাকোলা’ নামে বিশেষ কোড ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল গরু পাচারকারী সিন্ডিকেটের প্রধান তথা হাওলা ট্রেডার্সের মালিক এনামুল হক। লাভের সেই টাকা থেকে মোটা অঙ্ক বখরা পেতেন বিএসএফের কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারসহ বেশ কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিক। তারা প্রত্যেকেই এখন সিবিআইয়ের নজরে। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোরইনটুসেভেনের।

কলকাতার অনলাইন গণমাধ্যমটি জানায়, সে সময় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু বাংলাদেশে পাচার হতো। বিএসএফ ও কাস্টমসের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নির্দিষ্ট সময়ে লাইন মারফত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হতো গরুগুলোকে। আর সেই সুযোগ নিয়েই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাখের আলী, মাসুদপুর এই বিট খাটালগুলো থেকে গঙ্গা নদী পার করে মালদহের বৈষ্ণবনগর ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দিয়ে আসতো এই গরু। লোক দেখানোর জন্য কিছু গরু আটক করতো বিএসএফ। পরে সেগুলো কাস্টমসের মারফত নিলাম করা হতো।

পাচারকারীদের কোড অনুযায়ী, বড় গরুগুলোকে বলা হতো ‘কোকাকোলা’ ও ছোট গরুকে বলা হতো ‘পেপসি’। বাজেয়াপ্ত গরু নিলামের সময় বড় গরুকে ‘ছোট গরু’ দেখিয়ে অর্থাৎ ‘কোকাকোলা’কে ‘পেপসি’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। যার ফলে গরুর দাম কমে যেত এবং সেখান থেকেই প্রচুর টাকা আয় করতো এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট। কারণ তারাই এই গরুগুলো নিলাম করতো। কিন্তু পরে ওই গরু আবার পাচার করা হতো। গরু প্রতি আড়াই হাজার টাকা পেত বিএসএফ ও কাস্টমস আধিকারিকরা। তার মধ্যে বিএসএফ পেতো ২০০০ টাকা ও কাস্টমস পেতো গরু প্রতি ৫০০ টাকা।

২০১৮ সাল নাগাদ কেরল থেকে জিবিইউডি ম্যাথু নামে এক কমান্ড্যান্টকে প্রায় ৪৩ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরে সীমান্তে পাচার অনেকটা কমে যায়। সেই সময় বিএসএফের বিভিন্ন আধিকারিক ও ব্যাটেলিয়ান পরিবর্তন হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া কমান্ড্যান্টের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী, আরেক কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার তার সঙ্গে এনামুলের পরিচয় করে দিয়েছিল। সেই সময় সতীশ কুমার বিএসএফের মালদহ সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। এভাবেই একদিকে চলতো গরু পাচার অন্যদিকে আটক হওয়া গরু কিনতো এনামুল হক ও তার সিন্ডিকেট।

জানা যায়, ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ বিএসএফ ওই এলাকায় প্রায় বিশ হাজার গরু আটক করে নিলাম করেছিল। কাস্টমসের আধিকারিকদের একাংশ এই কারবার করতো। সিবিআইয়ের তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের কোকাকোলা কিনে নিচ্ছে তুর্কি কোম্পানি
X
Fresh