শিশু ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড কেন নয়: হাইকোর্ট
শিশু ধর্ষণকারীদের সাজা মৃত্যুদণ্ড কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিট শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের ক্রসফায়ার দেয়ার বিষয়ে জাতীয় সংসদে যে আলোচনা করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি।’
উল্লেখ্য, আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন
সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রশান্ত কুমার। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন রফিকুল হোসেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (২৪ মার্চ) দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বিমলেন্দু রায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির এ-৫ ফ্ল্যাটে থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দেওয়া ছাড়াও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সোমবার (৫ মে) এ মামলা দায়ের করা হয়।
ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— খুলনার বটিয়াঘাটা থানায় দুই দশমিক চার একর জমি। যা এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির যে ফ্ল্যাটে (এ-৫) থাকেন সেটা কিনেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকায়। মোহাম্মদপুরে ৩৭৯, পুলপাড় রোড, পূর্ব জাফরাবাদে ১২০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়।
রাজধানীর ১৪৩ গ্রিন রোডের ঠিকানায় গ্রিন সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩০০ বর্গফুটের একটি কক্ষ কিনেছেন ১১ লাখ টাকায়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির ওপর দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২৩ লাখ টাকায় একটি জাপানি প্রিমিও কার কিনেছেন। ১৬ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি এক্সক্যাভেটর (ভেকু)।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ টাকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে তিনি এক কোটি ৪১ লাখ টাকা ঋণ বাদে তার নিট সম্পদ রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ টাকার।
২০২৩ সালের ৫ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। সাবেক এই সচিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।
বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি, আটকে গেল মেয়রের জামিন
উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় বগুড়ার এক মেয়রের জামিন আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
সোমবার (২৫ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)। উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া আদেশ তৈরি করেছিলেন। দুদকের তদন্তেও তার জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। মামলার পলাতক আসামিরা হলেন পৌরসভার সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী আবদুল মজিদ।
এর আগে গত ২১ মার্চ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আদালত সূত্র জানায়, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকে মামলা হয়। এরপর আসামিরা হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ সৃষ্টি করে সেটি বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম ১০ বছর স্থগিত করান। পরে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।
এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী বিএনপির এই নেত্রী হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত অভিযোগ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল কেনার অর্ডার করেন তোফাজ্জল হোসেন। তাকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
তবে আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স এবং ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। পরে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর বাদী আসামিদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। এরপরও তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী।
নবীন জজ ও আইনজীবীদের সংবর্ধনা দিলো হক ল’ একাডেমি
আইন শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান হক ল’ একাডেমি থেকে নবীন সহকারী জজ ও আইনজীবীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজারে একটি কনভেনশন সেন্টারে এ সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একাডেমির প্রথম স্মরণিকা ‘আইনের বাতিঘর’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে একাডেমির পরিচালক অ্যাডভোকেট নূরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক।
এ ছাড়া একাডেমির শিক্ষার্থী রুমি নোমান ও খাদিজা মুন্নির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. শাজাহান মণ্ডল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আরিফুল ইসলাম, মিল্টন হোসেন, মোতাছিম বিল্যাহ, সাবেক যুগ্ম জেলা জজ সাজ্জাদ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান, কান্ট্রি এডিটরস ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, হক ল' একাডেমির চেয়ারম্যান বুশরাত মাসুমা নিপা ও প্রায় ৫০০ সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী।
এ সময় প্রায় ২০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী জজ ও ২০০ আইনজীবীকে গাউন ও কেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের হতে হবে সৎ, মানবিক ও দয়ালু। কেউ যেন তাদের কাছে হয়রানি না হয় কিংবা অবিচার না পায়। আমি তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
একাডেমির পরিচালক অ্যাডভোকেট নূরুল হক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দক্ষ বিচারক ও আইনজীবী তৈরির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আইন অঙ্গনের নতুন এ সদস্যদের উৎসাহিত করতেই আমাদের এ আয়োজন।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল, তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চে দুপুর ১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশে সক্রিয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরালোভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে।
সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন।
এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার (২৯ মার্চ) থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে, আজ সকালে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।
২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রিটটি করেন।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল সেটিই স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে ফের ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।