প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নিয়োগে ২০১৩ সালের শিক্ষক নীতিমালা অনুসরণ না করায় ১৬ জন নিয়োগ প্রার্থীদের পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকী ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে।
গেল ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে ১৬ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করলে আজ আদালত রুল জারি করেছেন।
১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কামাল হোসেন আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ফলাফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হব। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে।
এসএস
মন্তব্য করুন