ফেনীর ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ৭ দিনের রিমান্ডে
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজহারভুক্ত এক নম্বর আসামি ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুই আসামি মাদসার ইংরেজির প্রভাষক আফছার উদ্দিন (৩৩), আলিম পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আজ বুধবার দুপরে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে মাদসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তিন দিন পর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের ভাই। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলাহ অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে তার বোনকে ডেকে নিয়ে পরীক্ষার আধঘণ্টা পূর্বে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে অধ্যক্ষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এঘটনায় কিছু লোক অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে মামলা তুলে নিতে তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার জেরে শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রের ৮নং কক্ষে প্রবেশ করে তার বোন আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি (১৮)। এসময় নুসরাত জাহানকে তার এক সহপাঠি নিষাদকে মারছে বলে ছাদে ডেকে নেয়। সেখানে বোরখা পরা ৪ জন অজ্ঞাত আসামি তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এসময় সে রাজি না হলে ওই ৪ জন দুর্বৃত্ত তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল। তার উন্নত চিকিৎসায় সার্বক্ষণিকভাবে সিঙ্গাপুরের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ চলছে। শ্বাসনালি পুরে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন নুসরাত।
জেএইচ
মন্তব্য করুন