সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান
বিশ্বঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি প্রতিষ্ঠান লাল শ্রেণিভুক্ত। এসব লাল শ্রেণিভুক্ত প্রতিষ্ঠান পরিবেশের জন্য হুমকি এবং বাকিগুলো কমলা ও সবুজ শ্রেণিভুক্ত। এর মধ্যে ৩৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, বাকি ১৫৪টি প্রতিষ্ঠান চালু আছে।
আজ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত বলেছেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্টের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরিবেশগত প্রতিপন্ন এলাকায় লাল শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকার সুযোগ নেই। কারণ, এগুলো মাটি, পানি ও বায়ু ব্যাপকভাবে দূষিত করে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার জামিন ২২ এপ্রিল পর্যন্ত
--------------------------------------------------------
পরে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলো শিল্পকারখানা রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ আদেশ অনুসারে পরিবেশ সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে তিনি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শিল্পকারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিতে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন। গত বছরের ২৪ আগস্ট আদালত প্রতিবেদন চেয়ে রুল জারি করেন এবং নতুন কোনো শিল্পকারখানার অনুমোদন দেয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা দেন।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন