আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে ৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয়: হাইকোর্ট
সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
শুনানি শেষে এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না ও নিহত শিশুদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এই রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খোন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী তৈমূর আলম খোন্দকার নিহত শিশুদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানান। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, দিলে কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন, এ বিষয়ে সরকার দ্রুতই পলিসি ডিসিশন নেবেন। পলিসি ডিসিশন নেওয়া না পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আর্জি জানাই।
এ সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, সবে তো সরকার গঠন হলো। আপনি নিজেও তো এই সরকারের সফলতা চান। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। অ্যাটর্নি জেনারেল তো বলছেন সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয়। দেখেছেন তো, পলিসি ডিসিশনে (কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়) হস্তক্ষেপ করার কারণে কতকিছু হয়ে গেল।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে করা গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের জন্য আর্জি জানানো হয়।
রিমান্ডে দুই মন্ত্রীকে দুষলেন আনিসুল
সরকারের ব্যর্থতায় কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। আর সেই অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেউ পালিয়ে গেছেন আবার কেউ আছেন আত্মগোপনে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন।
ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। যে মামলায় তারা রিমান্ডে আছেন ওই মামলায় কোনো আসামির নাম নেই। তবে অজ্ঞাতনামা হিসাবে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী সরকার আমলে গত ১৬ জুলাই করা মামলায় গ্রেপ্তার হন সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা ও মন্ত্রী। রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য দায় চাপাচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর।
ডিএমপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গ্রেপ্তাররকৃতদের অপরাধ শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সালমান এফ রহমান। সরকারের অনেক অপকর্মকে আইনি বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন আনিসুল হক। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও আইনগত বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, যে মামলায় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মামলার ভিকটিম গুলিতে মারা গেছেন। অথচ এজাহারে বলা হয়েছে কোটাবিরোধী জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি আঘাতে ভিকটিম শাহজাহান মারা গেছেন। মামলায় কেন মিথ্যাচার করা হয়েছে, সেই বিষয় নিয়েও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যে মামলায় সালমান-আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আসামি হিসাবে তাদের নাম নেই। যাদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে এজাহাদের তাদের বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক বলা হয়েছে। তাহলে কী সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, মামলা হলো ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।
জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, ‘দেশে ছাত্র অন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমি একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বাস্তবতা বোঝানো যাচ্ছিল না। এ কারণে আন্দোলন এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’ সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা দুজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা।’ এ সময় তারা ছিলেন নির্বিকার।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। আমরা গরিব মানুষ। লেখাপড়া জানি না। মামলার এজাহার আমরা লিখিনি। ওটা পুলিশ লিখেছে। পড়ালেখা না জানলেও স্বাক্ষর করতে পারি। পুলিশ এজাহার লেখার পর কেবল স্বাক্ষর দিতে বলেছে। তাই এজাহারে স্বাক্ষর করেছি। একদিকে যেমন ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চাই, তেমনি যেসব পুলিশ অফিসার মিথ্যা এজাহার লেখার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম শাহজাহান গুলিতেই মারা গেছেন। তার মাথায় গুলির ছিদ্র ছিল। সেখান থেকে পিলেট উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এভাবেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করেছি।
জিয়াউল আহসান ৮ দিনের রিমান্ডে
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সদ্য বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন।
এর আগে, এদিন বিকেলে জিয়াউল আহসানকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে এনে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জিয়াউল আহসানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার সরাসরি অভিযোগ উঠে। পরে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিন তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আদালতকে যা বললেন জিয়াউল আহসান
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সদ্য বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন।
এর আগে, জিয়াউল আহসানকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে এনে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে রিমান্ড শুনানি চলাকালে জিয়াউল আহসান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিচারককে বলেন, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না।
তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়। এ ছাড়া আমাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। সেচ্ছায় অবসর নিতে বলা হয়েছে, তাই আমি অবসর নিয়েছি।
এদিকে, শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল আদালতকে বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি (জিয়াউল আহসান)। দেশে যত গুম-খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জিয়াউল আহসানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার সরাসরি অভিযোগ উঠে। পরে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিন তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পঞ্চম হত্যা মামলা
দেশত্যাগী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার ঢাকার আদালতে পঞ্চম হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মো. সিফাত হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে ঢাকায় দায়ের করা ষষ্ঠ মামলা এটি। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) একটি হত্যা ও বুধবার (১৪ আগস্ট) দুইটি ও বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) তিনটি মামলা করা হয়। এ ছয়টির মধ্যে পাঁচটি হত্যা ও একটি গুম-অপহরণ মামলা।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার। এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুক্রবার মিরপুর মডেল থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে নথি পাঠায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জাহিদ, স্বপন বেপারী, আলমগীর, যুবলীগ নেতা মাহবুব, সরোয়ার হোসেন, রেজাউল হক ভূঁইয়া বাহার, রুহুল আমিন, হুমায়ুন রশিদ জহির, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন বিপুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, মো. জিয়া, মো. জামান মিয়া, মো. মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর, ৯৮ সেনপাড়া এম এস পাওয়ারের সম্মুখে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। ঠিক সে সময় সিফাত হোসেন রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
বুলেট তার মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. সিফাত হোসেন মারা গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগ এনে রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ইমরুল হাসান নামে একজন আইনজীবী।
আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাদী ইমরুল হাসান।
তিনি বলেন, সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার মত দেন। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে সুবিধা প্রদানের জন্য মামলার নথি নিজ জিম্মায় রেখে পরে ২০১২ সালে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন যা প্রতারণামূলক ও জালজালিয়াতি পূর্ণ।
সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন আদালত। খায়রুল হক সবশেষ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তা খারিজ করে দেন।
প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগ এনে আইনজীবী ইমরুল হাসান আবেদন করেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার মত দেন। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে সুবিধা প্রদানের জন্য মামলার নথি নিজ জিম্মায় রেখে পরে ২০১২ সালে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন যা প্রতারণামূলক ও জালজালিয়াতি পূর্ণ।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেন শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষক, রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার স্মৃতি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল এবং ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করেন।