এনামুল বাছিরের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদক
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত। কিন্তু এই সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছে দুদক।
সোমবার (১৬ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এই আবেদন করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিচারিক আদালত তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল খালাস চেয়ে আপিল করেন এনামুল বাছির।
২৩ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের তিন বছর ও দুদকের তৎকালীন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আট বছর (তথ্যপাচারে তিন ও ঘুস লেনদেনে পাঁচ বছর) কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ৩ জানুয়ারি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন মিজান।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন