• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

‌‘ঈদের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম’

আরটিভি নিউজ

  ২৫ এপ্রিল ২০২২, ২১:৩৪
‌‘ঈদের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম’

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে ঈদুল ফিতরের পর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করবেন এবং জামিন আবেদনও করবেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এ অবস্থায় তিনি এমপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। উচ্চ আদালতে দণ্ড বহাল থাকায় ওই এমপিকে কারাগারে যেতে হবে।

আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, রায়টা আজকে অফিশিয়ালি কমিউনিকেট হয়েছে। এটা এখন বিচারিক আদালতে যাবে। আমাদের ৩০ দিন টাইম দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আমরা বিচারিক আদালতে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) পিটিশন দেব। আমি আমার ক্লায়েন্ট হাজী মোহাম্মদ সেলিম সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সবকিছু দেখে ঈদের পরই সারেন্ডার করবেন।

এর আগে, গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে ৩ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই দিন রায় ঘোষণার পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, দুদক আইনে (২৬-এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দেন আদালত।

এরপর বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলা হয়। একই সঙ্গে যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেওয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিতে হবে।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে সাবেক এমপি মান্নান
‘সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই’
ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
আত্মসমর্পণ করবেন ড. ইউনূস
X
Fresh