• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেকোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করানো যাবে ইভ্যালির সম্পত্তি : হাইকোর্ট

আরটিভি নিউজ

  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩২
Evaluation property can be audited by any organization: High Court
ফাইল ছবি

আদালত কর্তৃক গঠিত বোর্ড যেকোনো ভালো প্রতিষ্ঠান দিয়ে ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করাতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

পরে আইনজীবী জানান, আগে ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করতে কেপিএনজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি অডিট করতে খরচ ধরেছে ৮৬ লাখ টাকা। এ বিষয়ে একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ আদালত বলেছেন, কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড যেকোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করাতে পারবে।

এর আগে, ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে বলেন, যারা যারা ইভ্যালির কাছে টাকা বা পণ্য পান তারা কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত বোর্ডের কাছে আবেদন দিয়ে বোর্ডকে ৬ মাস সময় দিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে তারা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে।

এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ডকে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের দুটি ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেন আদালত।

একইসঙ্গে, ইভ্যালির ২২টি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে অর্থ আদায় করার সুযোগ দেওয়া হয় বোর্ডকে। পাশাপাশি ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কীভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তারও একটি তালিকা প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি মানিক ছাড়াও বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

আদেশে বোর্ডের কাজ কি সেটিও বলে দেওয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে। আর যদি চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে।

কেএফ/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ ঊর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ
বড় মেয়েকে নিয়ে গোপনে বাংলাদেশ ছাড়লেন সেই জাপানি মা
জাতীয় ঈদগাহে ফিলিস্তিনি‌দের জন্য দোয়া
ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
X
Fresh