• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শ্যামলীর সেই হাসপাতালের মালিক কারাগারে

আরটিভি নিউজ

  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৭
The owner of that hospital in Shyamoli is in jail
আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার

রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের’ মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাকা দিতে না পারায় ওই হাসপাতাল থেকে যমজ দুই শিশুকে বের করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই এক শিশুর মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুটির পরিবার মামলা দায়ের করে, আর সেই মামলাতেই হাসপাতালটির মালিক গোলাম সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানি দিন বুধবার (১২ জানুয়ারি) ধার্য করেছেন।

এর আগে রিমান্ড শেষে গোলাম সারোয়ারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাইফুল ইসলাম। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী আগামীকাল বুধবার জামিন শুনানির জন্য রাখার আবেদন করেন।

আদালত নিবেদন মতে জামিন শুনানির দিন বুধবার রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) সাব-ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম।

গত ৮ জানুয়ারি গোলাম সারোয়ারের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি শিশু দুটির মা আয়েশা আক্তার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তার অভিযোগ, ঠান্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। ২ জানুয়ারি বলা হয়, তাদের এনআইসিইউতে নেওয়া লাগবে। সেখানে সিট না মেলায় সাভারে কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় সেখানকার এক অ্যাম্বুলেন্সচালক (দালাল) তাদের পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। তিনি জানান, সেখানেও সরকারি হাসপাতালের মতো খরচ কম।

ওই চালকের কথামতো শিশু দুটিকে ভর্তি করালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিশু দুটির মা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এতো টাকা কোথায় পাব। তারপরও ৫০ হাজার পাঁচ শ’ টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দিতে পেরে তাদের হাতে-পায়ে ধরেছি কিন্তু লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে সন্তানসহ হাসপাতাল মালিক আমাকে জোর করে বের করে দেয়। এরপর শাহিন নামে এক যুবককে দিয়ে দুই শিশুসহ ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যাওয়ার পথে আমার এক ছেলে মারা যায়। আরেক ছেলের অবস্থাও ভালো না।’

কেএফ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নৌবাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র আল মঈন
মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অতঃপর....
‘বর্ষবরণ ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‌্যাব’
ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‌্যাব ডিজি
X
Fresh