• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাহেদের সঙ্গে ‘মহব্বত’ হলো কীভাবে, জানতে চাইলেন বিচারক

আরটিভি নিউজ

  ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫:১৮
সাহেদের সাথে ‘মহব্বত’ হলো কীভাবে? জানতে চাইলেন বিচারক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষে এই ছবি গতবছর ফেইসবুকে পোস্ট করেন মোহাম্মদ সাহেদ

করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতির মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে স্বাস্থ্যের ডিজিকে বিচারক প্রশ্ন করেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে কী করে খাতির হয়েছিল?

রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মামলায় ডা. আজাদ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ স্বাস্থ্যের ডিজিকে ওই প্রশ্ন করেন।

লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেছে দুদক।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে মামলার অভিযোগপত্রে।

শুনানি চলাকালে আবুল কালাম আজাদ বিচারককে বলেন, ‘আমি সারা জীবন কোনো অন্যায় করিনি, আর কখনও অন্যায় করবোও না।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাহেদ যে একজন প্রতারক, সেটা আমার জানা ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশে রিজেন্ট হাসপসতালের মাধ্যমে দৈনিক ৫০টি করোনা টেস্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য টাকা নিচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতাল এমন অভিযোগ পরে জানতে পারি। এরপর আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, ওই দুটি শাখা (রিজেন্ট হাসপাতালের) বন্ধ হয়ে যাবে।’

বিচারক এ সময় আজাদকে বলেন, ‘সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে হয়েছিল?’

আজাদ উত্তরে বলেন, ‘চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দিন সাহেদের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। আরও বড় বড় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই থেকে আমার পরিচয় হয় সাহেদের সঙ্গে।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় খরচ বাবদ মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

সাহেদ ও আজাদ ছাড়া বাকি চার আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।

এমএন/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অস্ত্র মামলায় রিজেন্টের সাহেদের খালাস
X
Fresh