• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টিকটক-পাবজি-লাইকি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধে হাইকোর্টে রিট

আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুন ২০২১, ১৭:০০
টিকটক-পাবজি-লাইকি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধে হাইকোর্টে রিট

দেশের যুব সমাজ ও শিশু-কিশোর দিনে দিনে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো বিভিন্ন গেম ও অ্যাপে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যা সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনস্বার্থে এসব গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ফাউন্ডেশনের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) হাইকোর্টে জনস্বার্থে গেম ও অ্যাপগুলো বন্ধে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়েছে।

জনস্বার্থে গত ১৯ জুন গেম ও অ্যাপগুলো থেকে যুব সমাজ ও শিশু-কিশোররা কিভাবে প্রতিকার পাবে তা জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়। নোটিশের কোনো সদোত্তর বা কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না নেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার রিট করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার।

রিটে বলা হয়েছে, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেম যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সকল প্রকার অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধে সরকারকে নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে বলা হয়, টিকটক, লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। এটা শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।

আরও বলা হয়েছে, দেশের শিশুরা বিভিন্ন অনলাইন গেমমেসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এগুলো মনিটর করার জন্য, সময়ে সময়ে শিশুদের জন্য উপযোগী এবং যথাযথ অনলাইন গেম সুপারিশ করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।

রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধান অনুযায়ী এসব অবাঞ্চিত ক্ষতিকর গেম এবং অ্যাপসকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী সাইবার পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিবাদীদের, যেটা করতে তারা ব্যর্থই হয়েছেন।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বুয়েটের হলে ছাত্রলীগ নেতার সিট ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধে হাইকোর্টে রিট
X
Fresh