• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৮ কার্যদিবসে ভার্চ্যুয়াল আদালতে ৪২২ শিশুর জামিন

আরটিভি নিউজ

  ০৮ মে ২০২১, ২১:১৬
Bail of 422 children in 16 working days in virtual court
ফাইল ছবি

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের মধ্যে সারাদেশের শিশু আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ১৮ কার্যদিবসে ৪২২ শিশু জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। একই সময়ে ওই শিশুরাসহ অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে মোট ৩১ হাজার ২০৮ জন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) থেকে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে। এই ১৮ কার্যদিবসে (৬ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৪২২ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল ৫৮ হাজার ৬০৫টি মামলায় জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ৩১ হাজার ২০৮ জন হাজতিকে জামিন দিয়েছেন।

লকডাউনের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো.গোলাম রব্বানী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারি (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিস্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
‘প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিস্পত্তি করার উদ্দেশ্যে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট /চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভোটের দিন লকডাউনের ডাক এবি পার্টির
X
Fresh