• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মজা করে শরীরে বালি ছিটানোয় মামুনকে হত্যা!

আরটিভি নিউজ

  ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৮
Confessional statement, Mamun was killed, by scattering sand on his body for fun
ফাইল ছবি

মজার করে সহকর্মীর শরীরে বালি ছিটানোয় হত্যার শিকার হন মামুন। সহকর্মী লেলিন সামান্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘটিয়ে ফেলেন এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। মামুন ও লেলিন দু’জনই রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

বুধবার (৭ এপ্রিল) ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন।

এসআই জানান, রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় শ্রমিক মামুনকে হত্যা মামলায় মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেন দেন।

একই তথ্য বুধবার (৭ এপ্রিল) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এসআই মো. কবির হোসেন জানান, নির্মাণাধীন ভবনের নিচে লেলিন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় মজা করতে গিয়ে উপর থেকে লেলিনের শরীরে বালি দেয় মামুন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মামুন এক পর্যায়ে লেলিনের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে লেলিনের মাথা ফেটে যায়। পরে লেলিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে একত্রে বসে এটার সমাধানও করা হয়। কিন্তু দুপুরে মামুন বাসায় খেতে গেলে লেলিন তার বুকে-পিঠে-মাথায় আঘাত করে। এতে অচেতন মামুন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম আসামি মোখলেছুর রহমানকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন বলেছিলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই। মামুন নামের ওই শ্রমিক বিমানবন্দরের ভেতরে একটি নির্মাণাধীন গ্যারেজে কাজ করত। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কিছু না পেয়ে হাসপাতালে নিহত মামুনের সহকর্মী ফাহিম ও ঠিকাদার ইকবাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ফাহিম স্বীকার করে মামুন ভবন থেকে পড়ে মারা যাননি। তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত মামুনের গ্রামের বাড়ী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার মোহনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মাজেদুল ইসলাম।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh