• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কুলসুমের পরিবর্তে মিনু কেন কারাগারে: হাইকোর্টের আদেশ ৫ এপ্রিল

আরটিভি নিউজ

  ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৩৩
Minu in jail instead of Kulsum: High Court order on April 5
বদলি জেল খাটা মিনু

চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুকে নিয়ে আদেশের জন্য ৫ এপ্রিল দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

৩১ মার্চ এ ঘটনা উচ্চ আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। মূল আসামি কুলসুমের আপিলের পক্ষের আইনজীবী ইকবাল হোসেনও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ৫ তারিখের মধ্যে কুলসুমের পক্ষে আপিলের জন্য ইকবাল হোসেনের সঙ্গে নথি নিয়ে যারা যোগাযোগ করেছেন এবং পরে নথি নিয়ে গেছেন, তাদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরও দাখিল করতে বলেছেন।

এর আগে গত ২৪ মার্চ মিনুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা উপ-নথি পাঠিয়েছেন।

একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু। বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন।

গত ২২ মার্চ সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পিডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শুনে এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মিনুর উপ-নথি ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই দিন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, আদালতে সংরক্ষতি ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন আদালত। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে, তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানো হচ্ছে।

এ মামলায় মিনুর পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। কোহিনূর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন তার সহকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলাটি ২ বছর তদন্ত করার পর পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে কোহিনূর আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে ১ বছর ৩ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।

মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু গত ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান।

এদিকে গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানতে পারেন। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।

কারাগারের সংরক্ষিত হাজতি রেজিস্ট্রার অনুসারে আসামি কুলসুম আক্তার গত ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কারাগারে আসেন। তিনি কারাগারে প্রায় ১ বছর ৩ মাস ছিলেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চতুর্থ আদালত ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুম আক্তার কুলসুমী।

জেলে থাকা মিনুর ভাই মো. রুবেল জানান, গত ২০১৮ সালের রমজান মাসে জাকাতের টাকা ও খাদ্যসামগ্রী দেবে বলে মিনু আপাকে ডেকে নিয়ে যান আমাদের প্রতিবেশী মর্জিনা আক্তার। এরপর আমার বোন মিনু আক্তার আর বাড়িতে ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুজি করেছি।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে
চাঁদপুরে ব্যবসায়ী নারায়ণ হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
সেনবাগে কলেজছাত্র শাওন হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
টেস্ট অভিষেকেই আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন হাসান 
X
Fresh