ঢাকা-বরিশাল রুটে নৌ শ্রমিকদের আকস্মিক ধর্মঘট
লঞ্চ দুর্ঘটনার একটি মামলায় ২ লঞ্চ মাস্টারের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চের নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২ টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয় বলে জানা গেছে। নৌ শ্রমিকদের সংগঠন থেকে এটি পালন করা হচ্ছে। লঞ্চের ওই ২ মাস্টার হলেন, রুহুল আমিন ও জামাল হোসেন।
জানা গেছে, গত ১ বছর আগে চাঁদপুরের হরিনাঘাটে এ্যাডভেঞ্চার-১ এবং এ্যাডভেঞ্চার-৯ এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময়ে নদীতে প্রচুর কুয়াশা ছিলো। সেই সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লঞ্চ দুটির মাস্টারসহ চারজনের সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় মেরিন কোর্টে তারা আজ সকালে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালতে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার সদরঘাটে নৌ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। তবে কেবল চাঁদপুর রুটের লঞ্চগুলো চলছে। বরিশালসহ অন্যান্য রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা আশিকুল আলম বলেন, জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না হওয়ায় শ্রমিকরা কেউই কাজ করছে না। অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের দুর্ঘটনায় ওই মামলা হয়েছিল। লঞ্চ মাস্টার দু’জনের জামিন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার সদরঘাটে দায়িত্বরত নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বিআইডব্লিউটিএ) জয়নাল আবেদীন আরটিভি নিউজকে বলেন, কেবলমাত্র চাঁদপুর রুটের লঞ্চগুলো চলছে, বরিশালসহ অন্যান্য রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাসেম বলেন, আমরা চাই না, কর্মবিরতি ডেকে যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলতে। পরিস্থিতির কারনে বাধ্য হয়েছি এই ধর্মঘট ডাকতে।
এদিকে ধর্মঘট ডাকার পর বরিশাল নদীবন্দরে অবস্থানরত দোতলা লঞ্চগুলো পন্টুন থেকে সরিয়ে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব পাড়ে নিয়ে নোঙর করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, দুই মাস্টারের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নৌ শ্রমিকেরা পূর্বঘোষণা ছাড়াই লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
কেএফ
মন্তব্য করুন