ডিআইজি মিজানের ভাগ্নের জামিন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রুল
নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে কারাগারে থাকা এসআই মাহমুদুল হাসানকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ গ্রহণ করে। মিজান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সেই টাকা ভাঙিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না রহমান কাকরাইলে এক হাজার ৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পর আদালত মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান মাহমুদুল। কিন্তু নিম্নআদালত তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মসজিদে বিস্ফোরণ: আরও পাঁচদিন সময় পেলো তদন্ত কমিটি
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন