• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনায় স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পাবেন আইনজীবীরা: আইনমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৪৩
Lawyers will get long-term loan at low interest in Corona: Law Minister
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই মাস আইনজীবীরা, বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবীরা তাদের প্রাকটিস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন। অনেকেই কষ্টে আছেন। তাদের এই কষ্ট লাঘবের জন্য স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হবে।

ফরিদপুরে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আটতলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। হেফাজতে মৃত্যুর কারণে এই উপমহাদেশে প্রথম সাজাও এই সরকারের সময় হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অপরাধীদের সাজা দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই দেশে সকলকেই আইন মানতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিচার হবে। এটা সকলকে মনে রাখতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের ওপরে তখনি আস্থা রাখবে, যখন তারা সঠিক বিচার পাবে। বিচারক ও আইনজীবীরা বিচার বিভাগকে কার্যকর করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান দুটি অর্গান। রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্গানের মধ্যে বিচার বিভাগ যেমন একটি, ঠিক তেমনি বিচার বিভাগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইন্সটিটিউশন। এই দুই ইন্সটিটিউশন মিলে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। ব্রিটিশরা যে আদালত ভবনগুলো তৈরি করে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত অন্যান্য সরকার সেগুলোর কোনো পরিবর্তন করেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগে বৃহদাকারে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে হাত দেন। তার সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বিচারকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে তাদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ শেখ হাসিনা মনে করেন বিচারকরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে তারা কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন এবং জনগণ সুষ্ঠু বিচার পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা থাকলেও সামরিক ও খালেদা জিয়ার সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগের অনেক পজেটিভ পরিবর্তন আনেন। এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়।

ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফরিদপুর ১ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্য যথাক্রমে মনজুর হোসেন ও মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন),আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এওএম খালেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।

আরও পড়ুন

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘নাসিরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন পরীমণি’
জামিনে মুক্তি পেলেন সেই খালেদা, অঝোরে কাঁদলেন মেয়েকে জড়িয়ে
ঋণ খেলাপি প্রার্থী শনাক্তে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত
X
Fresh