মানুষখেকো পিরানহা মাছ বিক্রি করায় আটক ৫, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা (ভিডিও)
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর বিক্রি এবং মাছে রং মেশানোর অভিযোগে পাঁচজনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধ্বংস করা হয় বিপুল পরিমাণ মাছ। এদিকে পচা মাংস রাখার অভিযোগে চারজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাব। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এক ঝাঁক পিরানহা মাছ নিমেষেই কঙ্কাল বানিয়ে ফেলতে পারে একজন মানুষকে। পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর মানুষখেকো এ মাছ বহু দেশে উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও কয়েক বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয় এ মাছ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে চাষ করা হয় পিরানহা। রূপচাঁদা বলে বিক্রি করা হয় বেশি দামে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের অভিযানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মাছ বিক্রেতারা জানান, এইটা পিরানহা মাছ আমরা রূপচাঁদা বলে বিক্রি করি। এটা রঙ দেওয়া মাছ জানি, তবে রঙের যে আইন আছে বা অবৈধ আমরা জানি না।
ঢাকা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ জানান, এ মাছ যেমন মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটা মানবদেহের চেয়ে পরিবেশের ক্ষতি বেশি করে। আমাদের যে লোকাল পরিবেশ আছে এটার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
অভিযানে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ রাক্ষুসে বিদেশি মাগুর। জব্দ করা হয় ক্ষতিকর রং দেয়া বিপুল পরিমাণ পোমা মাছ।
এসব অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, এই পিরানহা মাছ কোনোভাবে চাষ করা যাবে না, বিক্রি করা যাবে না। এই পিরানহা মাছ বাজারে এবং হোটেলে বিক্রি করা হয়। এই তিন ধরনের অপরাধ আমরা পেয়েছি। এই অপরাধ থাকার কারণে এখানে মোট পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ পচা মাংস প্যাকেট করে বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
এনএম/পি
মন্তব্য করুন