• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র‌্যাব (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি নিউজ

  ২১ জুলাই ২০২০, ১৯:২০

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র‌্যাব। গোয়েন্দা পুলিশের পর প্রয়োজনে সাহেদকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করবে র‌্যাব। এমন তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ। এদিকে করোনা চিকিৎসায় প্রতারণার দায়ে সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের এমডি ফয়সাল আল ইসলামসহ ৩ জনকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

করোনা চিকিৎসায় জালিয়তির দায়ে গেলো রোববার গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেলে অভিযান চালায় র‌্যাব। পৃথক পৃথক মামলা আর ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর সিলগালা করার কথা বললেও রোগী থাকায় তা করতে পারেনি প্রশাসন।

মেডিকেলটিতে রোগী থাকায় চলছে নিয়মিত চিকিৎসা। তবে বন্ধ রয়েছে করোনা চিকিৎসা। এদিকে সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের এমডি ফয়সাল আল ইসলামসহ ৩ জনকে সিএমএম আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এদিকে র‌্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তারের পর অনিয়মের কথা স্বীকার করেছে সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের পরিচালক। যেহেতু হাসপাতালে রোগী আছে। তাই সিলগালা করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

র‌্যাব সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, যেহেতু অন্য একটি সংস্থার রিমান্ডে আছেন সাহেদ, আইনের মধ্যে থেকেই তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করবে র‌্যাব।

প্রতারক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উত্তরার দুই থানায় করা ভোক্তভোগীদের মামলা রেকর্ড করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা জোনের ডিসি। ডিবির রিমান্ড শেষে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানান তিনি।
করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার দায়ে গত ৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা।

সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফয়সাল আল ইসলামসহ তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন- সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদি। এর আগে অনুমোদন ছাড়া করোনা পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব তাদের গুলশান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে সাতদিন করে রিমান্ড আবেদনের জন্য মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে অসহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকেও হেফাজতে নেয়া হয়। আর সোমবার রাতে বনানীর একটি হোটেল থেকে হাসপাতালের এমডিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত ৫০০ শয্যার সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার র‌্যাপিড কিট টেস্ট, অ্যান্টিবডি নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (২০ জুলাই) রাজধানীর গুলশান থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে এই মামলাটি করে। মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪), সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত (৫২) এবং ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদির (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নৌবাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র আল মঈন
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
কলেজছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অতঃপর....
X
Fresh