• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আইটেম গার্ল মিথিলার ‘আত্মহত্যা’ : ধরা পড়েনি আসামিরা

শানে আলম সজল, চট্টগ্রাম

  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৮

বাংলা সিনেমার নবীন আইটেম গার্ল জ্যাকুলিন মিথিলার (জয়া শীল) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি। তার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী করে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা স্বপন শীল।

গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বন্দর থানার বাবার বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মহিন আরটিভি অনলাইনকে জানান, জ্যাকুলিন মিথিলার (জয়া শীল) মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ওই দিনই আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।

তিনি আরো বলেন, মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় আটক করা যায়নি।

স্বপন শীল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘১০ দিন আগে আমার মেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বাসায় এসে জানায়, গেলো ৩ নভেম্বর তার সঙ্গে ফটিকছড়ির ধুরম গ্রামের উৎপল রায়ের কোর্টম্যারেজ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর মেয়ের জামাই উৎপল জয়াকে এড়িয়ে চলছিল। সাত বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে জয়া শীল আত্মহত্যা করেছেন।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উৎপল রায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় কৃষি বিভাগে চাকরি করেন। বিয়ের পর তিনি হাটহাজারীর বাসা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যান। সম্প্রতি হাটহাজারীতে উৎপলের বাসায় যান মিথিলা। সে সময় পরিবারের কাউকে না পেয়ে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।

স্বপন শীল বলেন, ‘ঘটনার দিন ঘুম থেকে ওঠে নাশতা করে চা খেয়েছিল জয়া (মিথিলা)। রুমের দরজা বন্ধ দেখে, খোঁজ নিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।’

‘মৃত্যুর আগে সে স্বামীসহ কয়েকজনের নাম (শ্বশুরবাড়ির) চিরকুটে লিখে গেছে। তাদের সবাইকে আমি আসামি করেছি।’

পুলিশও জানিয়েছে, মিথিলার ঝুলন্ত লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখাছিল ‘আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর তার ভালোবাসা কমে গেছে।’ ফেসবুকে মিথিলা আত্মহত্যা করার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট দিয়ে আসছিলেন বলেও জানায় পুলিশ ।

পারিবারিক সূত্র জানায়, জয়া শীল মডেল জগতে জ্যাকুলিন মিথিলা নামে পরিচিত। ঢাকার রামপুরা এলাকায় একটি মেয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এইচএম /জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh