ল্যাম্পপোস্টের আঘাতে প্রাণ গেলো এসএসসি পরীক্ষার্থীর
রাজধানীর মহাখালীতে দুর্ঘটনায় মারা গেলো এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাকিবুল ইসলাম (১৫) নামে এ শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকালে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসে করে এসএসসি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সকাল ন’টায় মহাখালীর আমতলীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করলে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে আঘাত পায় সাকিবুল। আঘাতের পর আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাকিবুল ইসলাম বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। সাকিবুলের প্রবেশপত্র ও আইডি কার্ডেএ তথ্য পাওয়া গেছে।
এসজেড
মন্তব্য করুন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুই মামলার একটিতে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম বাবলুর স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে বেরিয়ে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে।
গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে।
মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
বিমানবন্দরে ডলার আত্মসাৎ, ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিমানবন্দরে ডলার ও অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকার ও দুই মানি এক্সচেঞ্জের মালিকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ মার্চ) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলাটির বাদি হয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা ডলারসহ প্রতিদিন যে শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আনেন, ও্ই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে ১৯ ব্যাংকার ও দুই দুইজন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি।
চক্রটি জাল ভাউচারের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তা খোলাবাজারে ছাড়ে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং এভিয়া ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ।
অচল গার্মেন্টসকে সচল দেখিয়ে ২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ
অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল দেখিয়ে ঋণ দেওয়ার নামে প্রায় ২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে বুধবার (২৭ মার্চ) জানিয়েছে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র। মামলায় যে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ তোলার অভিযোগ, তার মালিককেও আসামি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, মামলার আসামিরা হলেন মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সসেসরিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এস এম কবির, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মির্জা তৈয়বুর রহমান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ছাইদুর রহমান, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আফতাব উদ্দিন আহমেদ, কে এম মইন উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হারুন উর রশিদ খান ও ইউনিক সার্ভে সার্ভিস ব্যুরোর সার্ভেয়ার মো. মোশাররফ হোসেন দোলন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ৭ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল দেখিয়ে ও ১৪ শতক বন্ধকীকৃত জমির অতিমূল্যায়ন করে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সিসি ঋণের লিমিট বৃদ্ধি করে এবং প্রতিষ্ঠান চালু না থাকা সত্ত্বেও চালু দেখিয়ে ওই কর্মকর্তারা অচল গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে ব্যাংকের মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানকারীরা দেখতে পেয়েছেন যে, মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সেসরিজের নামীয় প্রতিষ্ঠানটি চারতলা রেডিমেইড গার্মেন্টসের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ পণ্য ইন্টারলাইনিং উৎপাদন করার জন্য ঋণের নাটক সাজিয়ে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের আশুগঞ্জ শাখা থেকে এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে।
জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ঈদুল ফিতর টার্গেট করে জাল টাকা তৈরি করা একটি চক্রের মূলহোতাসহ আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়ার চরমোহনপুর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ বিপুল পরিমাণ জাল নোট জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লে. কর্নেল আরিফ।
শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীতে শিশু অপহরণ বেড়েছে। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, রাজধানীতে অপহরণের এক সপ্তাহ পর বুধবার (২৭ মার্চ) আড়াই বছরের শিশু তাওসীনকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহানকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ জানান, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চাহিদামতো শিশুদের খুঁজতো সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা। টার্গেট করা শিশুদের চকলেট, চিপস কিনে দিতো। নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে নিয়ে সটকে পড়তো। পরে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মোটা অংকের টাকায় ওই শিশুদের বিক্রি করতো।
তিনি জানান, গত ২১ মার্চ বিকেলে রাজধানীর হাজারিবাগের ভাড়া বাসার সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল শিশু তাওসীন। হঠাৎ অপরিচিত এক নারী চকলেট-চিপসের লোভ দেখিয়ে তাকে দোকানে নিয়ে যান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই নারী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাওসীনকে না পাওয়ায় তার বাবা আইনরক্ষাকারী বাহিনীর শরাণাপন্ন হন।
তিনি আরও জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি কুমিল্লা থেকে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান জানান, অর্ধ লাখ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বোরকা পরা ওই নারী। পরে ওই শিশুকে উদ্ধারসহ বিক্রয়ের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শিশু পাচারকারীর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না এ ব্যাপারে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বড় মনিরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঢাকায় এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
মামলার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী উল্লেখ করেন, ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো। এরপর গত ২৯ মার্চ ইফতারের পর গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সঙ্গে এপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলে। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করি। এর ১০/১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসে এবং রিকশায় উঠতে বলে। বড় মনিরের কথামতো ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় উঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানাধীন প্রিয়াংকাসিটি ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এর আগে, এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।