৫ সিন্দুকভর্তি টাকা এনামুল-রূপনের বাড়িতে (ভিডিও)
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করেছে র্যাব।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে এসব জব্দ করা হয়। এসময় পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত বাড়িটি ঘিরে রাখতে দেখা যায় র্যাব সদস্যদের।
পি
মন্তব্য করুন
৮ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিড্রিন
আট টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে সন্তান জন্মের সময় ব্যথা উপশমের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘জি-প্যাথিডিন’ ইনজেকশন তৈরি করে ৭-৮ বছর ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছিল রাজধানীর একটি চক্র।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমগীর খান (৪০), মাসুদ রানা (২৯) ও আহসান হাবীব শাওন (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস জি-প্যাথিডিন ইনজেকশন, জি-প্যাথিডিনের অ্যাম্পুল ২২০পিস, এক হাজার ১০ পিস জি-ডায়াজিপামের অ্যাম্পুল, ৫২০ পিস জি-প্যাথিডিনের খালি বাক্স, ২০০ পাতা জি-প্যাথিডিন ইনটেক স্টিকার, ৫ কেজি এসিডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, চক্রটি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশন প্রতিটি ৮ টাকায় কিনে বাসায় নিয়ে যায়। পরে ইনজেকশন অ্যাম্পুলকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জি-প্যাথিডিন ইনজেকশনের নামে নামকরণ করতো তারা। আর বাজারে এসব নকল ‘জি-প্যাথিডিন’ প্রতিটি ৬০০ টাকায় বাজারজাত করতো চক্রটি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজধানীর অনেক খ্যাতনামা হাসপাতালের নিচের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আমরা বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের নিচের ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছি, তাকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত করে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনিবলেন, ‘এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে একদিকে মুনাফা করে আসছিল, অন্যদিকে রোগীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে চক্রটি। মিটফোর্ডে কারা কারা এসব ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করত এবং কোন কোন স্থানে এসব প্যাথিডিন বিক্রি করা হচ্ছে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এই প্যাথিডিন ইনজেকশন প্রয়োগে কেউ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে কি-না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হারুন অর রশীদ।
ভুয়া ডিগ্রি-অভিজ্ঞতায় বিসিএস কর্মকর্তা, অতঃপর...
ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতার সনদ ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়োগ পেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সহযোগী অধ্যাপক এস এম আলমগীর কবীরের।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পিএসসি থেকে ২০০৬ সালে অভিযুক্ত এস এম আলমগীর কবীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পান। পিএসসির ওই নিয়োগ চারটি শর্ত ছিল। সেগুলো হচ্ছে- ১. প্রার্থীদের ডক্টরেট ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মান ডিগ্রিসহ কলেজ যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। ২. প্রার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক চরিত্রগত সনদ। ৩. প্রার্থী যেসব সরকারি/বেসরকারি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন সে সব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিগ্রি কলেজ/অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের হতে হবে এবং তার অর্জিত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের অভিজ্ঞতার সনদে তা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। ৪. অভিজ্ঞতার সনদে কলেজটি ডিগ্রি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের না থাকলে এবং অভিজ্ঞতার সনদ জমা না দিয়ে যোগদানপত্র জমা দিলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান বলছে, এস এম আলগীর কবীরের আবেদনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কামডেন ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত করেছেন কিন্তু দেশটিতে ওই নামের কোন রেজিস্ট্রার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। সেই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার মধ্যে ২ বছর ৩ মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল। এই হিসাবে এস এম আলগীর কবীর চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতায় প্রতারণা করেছেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং পরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
এসব জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এস এম আলগীর কবীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
যেভাবে ‘ঢালী সিন্ডিকেট’ গড়ে তোলেন সহজের পিয়ন মিজান
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের অন্যতম হোতা সহজ ডটকমের পিয়ন মো. মিজান ঢালীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মিজানের নেতৃত্বে ‘ঢালী সিন্ডিকেট’ নামে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকা থেকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ‘ঢালী সিন্ডিকেট’-এর মূলহোতা মো. মিজান ঢালী (৪৮), মো. সোহেল ঢালী (৩০), মো. সুমন (৩৯), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৯), মো. শাহজালাল হোসেন (৪২), মো. রাসেল (২৪), মো. জয়নাল আবেদীন (৪৬), মো. সবুর হাওলাদার (৪০) ও নিউটন বিশ্বাস (৪০)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টিকিট, আটটি মোবাইল ফোন, একটি এনআইডি, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, কালোবাজারির বিভিন্ন আলামত এবং টিকিট বিক্রির নগদ ১১ হাজার ৪২২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। ঢালী সিন্ডিকেটের মূলহোতা হলো সহজ ডটকমের পিয়ন মো. মিজান ঢালী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সবশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি সহজ ডট কমকে দেওয়া হলে সেখানেও পিয়ন হিসেবে মিজানের চাকরি বহাল থাকে। চাকরির সুবাদে দেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের অফিসে এবং বড় বড় রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে মিজানের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। যার সূত্র ধরে তিনি বিভিন্ন স্টেশনে থাকা সহজ ডটকমের সদস্য, টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের সমন্বয়ে কারসাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টিকিট বিক্রি করতেন।
তিনি বলেন, সহজ ডটকমের কমলাপুর রেলস্টেশন সার্ভার রুমের সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাস, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিভ সবুর হাওলাদার এবং পলাতক আব্দুল মোত্তালিব, আশিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। ঈদ, পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ্য করে মিজান ও সোহেল কারসাজির মাধ্যমে বেশি টিকিট সংগ্রহ করতেন। প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় ২-৩ হাজার টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রি করতেন। এবারও তারা ঈদের আগে বেশি টিকিট সংগ্রহের পরিকল্পনা করছিলেন।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, টিকিট বিক্রির অর্থ দুইভাগ করে ৫০ শতাংশ সহজ ডটকম ও রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার ম্যানরা পেতেন এবং বাকিটা সিন্ডিকেটের মূলহোতা মিজান, সোহেলসহ তাদের সহযোগীদের মাঝে ভাগাভাগি হতো। এভাবেই পরস্পরের যোগসাজশে তারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন।
ছোটবেলার থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে আফিলকে হত্যা করেন পুলক
রাজধানীর দক্ষিণখানে নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে (৫৭) হত্যার ঘটনায় এস এম ওয়াহিদ হোসেন ওরফে পুলক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি বলছে, নিহত আফিল ছোটবেলায় পুলককে চড়-থাপ্পড় দিতেন। এর প্রতিশোধ নিতেই তাকে হত্যা করেন পুলক।
শুক্রবার (২২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রাজধানীর দক্ষিণখানের তোফাজ্জল চেয়ারম্যানের বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে অজ্ঞাত আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোরশেদা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর তদন্তে নেমে হত্যায় জড়িত এস এম ওয়াহিদ হোসেন ওরফে পুলককে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুলক জানিয়েছেন বাবা হারিয়ে ছোটবেলায় তিনি চাচাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। নিহত নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়া ছোটবেলায় তাকে চড়-থাপ্পড় মারতেন। এতে পুলকের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া তার ভেতরে একটি বিকৃত ইচ্ছার জন্ম হয়। তিনি সিরিয়াল কিলিংয়ের পরিকল্পনা করছিলেন। তার টার্গেট ছিল ৯টি হত্যা করা। যার প্রথমটির বলি নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়া। পুলকের ডন হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তিনি চাইতেন সন্ত্রাসী হিসেবে মানুষ তাকে চিনবে, তার কথায় মানুষ উঠবে-বসবে।
ডিবিপ্রধান বলেন, নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে হত্যার আগে পুলক ইয়াবা সেবন করেন। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটান। হত্যার বিষয়ে তিনি নিজের দায় স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুই মামলার একটিতে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম বাবলুর স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে বেরিয়ে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে।
গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে।
মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
বিমানবন্দরে ডলার আত্মসাৎ, ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিমানবন্দরে ডলার ও অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকার ও দুই মানি এক্সচেঞ্জের মালিকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ মার্চ) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলাটির বাদি হয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা ডলারসহ প্রতিদিন যে শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আনেন, ও্ই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে ১৯ ব্যাংকার ও দুই দুইজন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি।
চক্রটি জাল ভাউচারের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তা খোলাবাজারে ছাড়ে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং এভিয়া ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ।