• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাটোরে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি

  ০২ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৪৪
নাটোর পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রী হত্যা

নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার বাটরাগোপালপুর গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সাথে জোয়াড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে তাসলিমা খাতুনের (১৯) বিয়ে হয়।

বিয়ের পর মনিরুল তার স্ত্রী তাসলিমাকে নিয়ে কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভবানীপুর থানার নয়াগেলা গ্রামের আলমের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সেখানে থাকতে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে আসে মনিরুল। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে শ্বশুরবাড়িতে একই কক্ষে থাকেন তারা।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের বড় ভাই রবিউল করিম জানান, আমি সকালে রাস্তার পাশে কাজ করতেছিলাম। হঠাৎ দেখি মনিরুল দ্রুতগতিতে চলে যাচ্ছে। আমি মনিরুলকে জিজ্ঞাসা করি কোথায় যাও? মনিরুল বলে কর্মস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছি। আমার সময় শেষ। তাড়াতাড়ি গিয়ে কর্মস্থলে হাজিরা দিতে হবে। আপনার বোনের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একথা শুনে তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাসলিমার ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ দেখে আমি ও পরিবারের লোকজন তাসলিমার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকি।

রবিউল ইসলাম আরও বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরা ঘরের পিছনের জানালা খোলা দেখতে পায়। জানালা দিয়ে দেখি ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে বোন তাসলিমা। তাৎক্ষণিক জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনপাড়া আমিনা হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আমরা রাজশাহীতে না নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর হাসপাতালে নিয়ে সেখানে ভর্তি করি। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত শুক্রবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মারা যায়। ঘটনার দিন সুকৌশলে পালিয়ে যায় কনস্টেবল মনিরুল। গত ৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে মনিরুল ও তার পরিবার আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ধর্ষণের শিকার তরুণীর লাথি খেয়ে পালালো ৩ ধর্ষক
---------------------------------------------------------------

ভিকটিমের বাবা আবুল কাশেম এই প্রতিবেদককে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, মেয়ে মরে আমাকেও সর্বস্বান্ত করে গেছে। দীর্ঘ ৫৩ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মেয়েকে হারালাম, আর্থিকভাবেও পঙ্গু হলাম। মেয়ে অসুস্থ থাকাবস্থায় বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছি। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ আমার অভিযোগই গ্রহণ করেনি। মেয়ে মারা যাওয়ার পর আজ সকালে আবারও থানায় যাই। কিন্তু ওসি আমাদের মামলা গ্রহণ করেননি।

এই নিয়ে নাটোরে পর্যায়ক্রমে তিনজন কনস্টেবলের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তির পর সবকিছু জানা যাবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরে হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু
বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে
X
Fresh