অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে ইলিশ শিকার
৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জের জেলেরা এখনও শিকার করছে ইলিশ। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ ধরার অনুমতি না থাকায় অলস সময় পার করছেন হাতিয়ার জেলে সম্প্রদায়। ত্রাণ না পেয়ে বিপাকে পড়েছে এই এলাকার অনেক মৎসজীবীরা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জের পদ্মা ও যমুনা নদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে ইলিশ শিকার।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য মানিকগঞ্জের প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৩০ কেজি চাল। বেশি লাভের আশায় কিন্তু সুযোগ সন্ধানী কিছু জেলেরা অভিযান শেষ হতে না হতেই নদীতে নামে মাছ ধরতে।
প্রজননকালীন সময়ে নদীতে মাছ শিকার না করার জন্য জেলেদের সচেতন করা হয়েছে জানালেন কর্মকর্তারা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞায় নোয়াখালীর হাতিয়ার জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। হাতিয়ার জেলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার হলেও সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে মাত্র ৪ হাজার দুইশ জন। ত্রাণ না পাওয়া জেলেরা আধপেটা খেয়ে কোনোরকম দিন কাটাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, যে পরিমাণ বরাদ্দ হাতিয়া উপজেলার জন্য দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
ত্রাণ বঞ্চিত মৎস্যজীবীদের আশা সরকার তাদের জন্য নতুন করে ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করবেন।
অপরদিকে, রোববার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় বাউফল থানার দেউলিয়া এলাকার নিমদী নদী থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০০ কেজি ইলিশ মাছসহ ১৬ জন জেলেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
পি
মন্তব্য করুন