সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (ভিডিও)
সাধারণ মানুষ কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেউ রেহাই পাচ্ছে না সাইবার অপরাধের কবল থেকে। বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের তথ্যেই গত তিন বছরে দেশে সাইবার অপরাধ বেড়েছে তিনগুণ। তবে, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবে অপরাধ বৃদ্ধির হার শতগুণ। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশ।
সুরক্ষিত সুইফ কোড ভেঙে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ থেকে ৮১০ কোটি টাকা চুরির ঘটনা, সামনে নিয়ে আসে বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের ভয়াবহতার চিত্র। বাস্তবতার আড়ালে অনলাইনে যে ভয়াবহ অপরাধ সম্ভব এটিই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
এই ঘটনার পরও সচেতন হয়নি দেশের ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের গবেষণা বলছে, নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার পুরোপুরি স্থাপন না করায় এখনও সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকিতে আছে দেশের (জিএফএক্স) বেশির ভাগ ব্যাংক। এর মধ্যে, ৩৫ শতাংশ ব্যাংক সফটওয়্যারটি আংশিকভাবে স্থাপন করেছে আর ১৫ শতাংশ রয়েছে অনুমোদন পর্যায়ে।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: নারীদের উত্ত্যক্তকারী গ্যাংস্টার গ্রুপের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
---------------------------------------------------------------
সাধারণ মানুষও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পরিসংখ্যান বলছে প্রতিদিন সাইবার অপরাধের অভিযোগ আসে গড়ে ছয়টি। সংস্থাটির হিসাবে, (জিএফএক্স) ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ অপরাধ বেড়েছে তিনগুণ। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ ভুক্তভোগির বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছর আর ৩১ শতাংশের বয়স ২৬ থেকে ৩৫। ভুক্তভোগিদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারী সংখ্যা বেশী।
এটুআই এর চিফ টেকনোলজি অফিসার মো. আরিফ ইলাহি বলেন, সাইবার অপরাধ নিরসনে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কাজ করছে এটুআই।
ডিএমপির উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত তারা। সাইবার নিরাপত্তায় সংস্থাটির ফরেনসিক ল্যাব উন্নত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পি
মন্তব্য করুন